দেশে আরেকটি জাতীয় নির্বাচনের দিনক্ষণ দ্রুত ঘনিয়ে আসছে। নির্বাচন অনুষ্ঠানের যে নিয়ম রয়েছে, সে অনুযায়ী এ নির্বাচনটি অনুষ্ঠিত হবে ২০২৩-এর ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে অথবা ২০২৪-এর জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে। একজন রাজনৈতিকভাবে সচেতন ব্যক্তি হিসাবে আমাকে অনেকেই প্রশ্ন করেন, দেশে কী হতে যাচ্ছে? নির্বাচনের প্রশ্নে দেশে যে বিশাল রাজনৈতিক বিভাজন বিদ্যমান, তার কি কোনো সুরাহা হবে?
অনেকে যারা বর্তমান সরকারের জেল-জুলুম, মামলা-মোকদ্দমার শিকার হয়ে কষ্ট ভোগ করেছেন, তারা জানতে চান এমন দুঃসময়ের অবসান হবে কি? প্রায় প্রতিদিন এ ধরনের প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়। এসব প্রশ্নের আমি কোনো সুনির্দিষ্ট জবাব দিতে পারি না। ক্ষমতার অন্ধ মোহে নিমজ্জিত হয়ে যে রাজনীতি যুক্তিহীন হয়ে পড়েছে, তার প্রেক্ষাপটে বুদ্ধিদীপ্ত কোনো জবাব দেওয়া সম্ভব নয়। মাঝে মাঝে মনে হয় আমাদের দেশটি যেন একটি হালভাঙা তরী, যেটি ভেসে চলেছে অজানা গন্তব্যে। হালভাঙা তরী নিয়ে যে কথা সহজে বলা যায়, তেমন কথা একটি রাষ্ট্র সম্পর্কে বলা যায় না। একটি রাষ্ট্রের মূল ভিত্তি হচ্ছে এর জনগণ।
জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটিয়ে দেশ পরিচালনা করতে হয়। দেশের দায়িত্বে যারা থাকেন তাদের অনেক কিছু বিবেচনা করে দেশ চালাতে হয়। দেশের জনগোষ্ঠীর মধ্যে নানা মতের, নানা আদর্শের মানুষ থাকে। এ মানুষগুলো ধর্মীয় বিশ্বাসের দিক থেকে একক কোনো ধর্মের অনুসারী হয় না। এমনকি তারা একই ভাষায় কথা বলে না। এ রকম বিচিত্র জনগোষ্ঠীকে নিয়ে একটি রাষ্ট্র গড়ে ওঠে। রাষ্ট্রের অভ্যন্তরে শান্তি, স্থিতিশীলতা ও সহমত গড়ে তুলতে হয়।