২০১৮ সালের নির্বাচন নিয়ে সরকারকে মাঝেমধ্যে বিব্রত হতে দেখা যায়। এমন নির্বাচন আর হবে না বলেও প্রতিশ্রুতি দেওয়া হচ্ছে। এ প্রতিশ্রুতি যে আগামী নির্বাচনের ব্যাপারে বিশেষভাবে আগ্রহী পশ্চিমাদের দেওয়া হচ্ছে, সেটাও বলা হয়ে থাকে। এরই মধ্যে আবার দাবি করা হয়, জনগণ বারবার তাদের ‘নির্বাচিত’ করেছে এবং এতে সরকারের ধারাবাহিকতা বজায় থাকায় ‘এত উন্নয়ন’ হতে পেরেছে দেশে। ২০১৮-এর নির্বাচন নিয়ে বিএনপির বক্তব্যও স্পষ্ট নয়। ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে তারা সে নির্বাচনে গিয়েছিল রীতিমতো সংলাপ করে।
খোদ প্রধানমন্ত্রী নাকি তাদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন নির্বাচন সুষ্ঠু হবে বলে। বাস্তবে সিংহভাগ আসনে ‘ভোট’ আগের রাতেই হয়ে গিয়েছিল। এটা এখন প্রতিষ্ঠিত অভিযোগ। একটি বন্ধুদেশের রাষ্ট্রদূতও এর উল্লেখপূর্বক বিস্ময় প্রকাশ করে গেছেন। তবে ঘটনাদৃষ্টে মনে হয় না, বিএনপি সরল বিশ্বাসে নির্বাচনে গিয়েছিল। ওটা ‘আসন সমঝোতার নির্বাচন’ ছিল বলে কথা চালু আছে।