এনবিআর শুল্ক–করছাড় দেয় সাধারণ ভোক্তা ও শিল্পোদ্যোক্তাদের সুবিধা পাওয়ার জন্য। এসব শুল্ক ও করছাড়ে সার্বিকভাবে অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব পড়ে, যদি সেটি সঠিকভাবে ব্যবহার করা যায়। আবার দীর্ঘদিন শুল্ক ও করছাড়ের নেতিবাচক দিকও আছে। আমাদের উন্নয়ন সহযোগীরা যে বরাবরই শুল্ক ও করছাড়ের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে থাকে, তার পক্ষেও যথেষ্ট যুক্তি আছে। মূল কথা হলো কর ও শুল্কছাড়ের সুবিধা বৃহত্তর জনগোষ্ঠী পাচ্ছে কি না।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) চলমান ৪৭০ কোটি মার্কিন ডলারের ঋণ কর্মসূচির আওতায় এনবিআরকে নানা ধরনের শর্ত ও লক্ষ্য দেওয়া হয়েছে। সংস্থাটি করছাড় কমানোর পাশাপাশি কয়েক দশক ধরে যে কর অব্যাহতি দেওয়া হচ্ছে, তা বাতিলের জন্য চাপ দিয়েছে। বিদ্যমান সব ধরনের করছাড় ২০২৭ সালের ১ জুলাইয়ের আগে তিন ধাপে বাতিল করারও পরামর্শ দিয়েছে তারা।