শেখ মুজিবুর রহমান ঐতিহাসিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে জাতির হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছিলেন। বাল্যকালে তিনি ছিলেন প্রাণবন্ত, মেধাবী, বহুগুণের অধিকারী ও সবার মধ্যমণি ‘খোকা’। তার পর বহুদিন ধরে মানুষের মুখে মুখে তাঁর নাম ছিল ‘শেখ সাহেব’। উত্তাল জনতা ’৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে তাঁকে জেল থেকে মুক্ত করে নতুন পরিচয় দেয় ‘বঙ্গবন্ধু’। একাত্তরের পর তিনিই স্বাধীন দেশের স্থপতি ‘জাতির পিতা’ উপাধিতে অভিষিক্ত হন।
বঙ্গবন্ধু মনেপ্রাণে বিশ্বাস করতেন, কৃষির উন্নয়ন না হলে দেশের উন্নয়ন সম্ভব না এবং স্বাধীনতার সুফল আসবে না। তিনি অনুধাবন করেছিলেন, ৮০ শতাংশ কৃষকের দেশে কৃষির উন্নয়নে কৃষিশিক্ষায় শিক্ষিত দক্ষ গ্র্যাজুয়েট তৈরির ওপর প্রাধান্য দেওয়া প্রয়োজন। এ জন্যই তিনি কৃষিবিদদের প্রথম শ্রেণির মর্যাদা দান করেছিলেন। দেশে কৃষির সব ভিত্তি, বিশেষ করে নীতিমালা ও প্রতিষ্ঠানগুলো তাঁর স্বল্পতম শাসনামলেই প্রতিষ্ঠিত হয়।
বঙ্গবন্ধুর পথ ধরে তাঁর সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা সময়োপযোগী এবং বাস্তবমুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করার ফলে বাংলাদেশ এখন খাদ্যসহ কৃষির সর্বক্ষেত্রে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করে বিশ্বে আজ রোল মডেল। আমরা এখন সবজি, মাছসহ অন্যান্য খাদ্যদ্রব্য রপ্তানিও শুরু করেছি। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ ও ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে দেশকে আরও উন্নত হিসেবে গড়ে তোলার দৃঢ় শপথ নিয়ে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা কাজ করে চলেছেন। আমরা যদি বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ বিশ্লেষণ করি তাহলে স্পষ্ট হয়ে যায়, তিনি কীভাবে জাতিকে দিকনির্দেশনা দিয়েছেন চূড়ান্ত লক্ষ্য অর্জনে প্রস্তুতি গ্রহণের। ‘আজ বাংলার মানুষ মুক্তি চায়, বাংলার মানুষ বাঁচতে চায়, বাংলার মানুষ তার অধিকার চায়’ বক্তব্যের মধ্যে বাঙালি জাতির দীর্ঘদিনের শোষণ, নিপীড়ন, বঞ্চনাসহ নানা নেতিবাচক বিষয় থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার অভিলাষের কথা উচ্চারিত হয়েছে।