দেশের প্রধান দুই দল আওয়ামী লীগ-বিএনপির পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিতে দখলে রাজপথ। সমাবেশ-পদযাত্রা অনেক সময় রূপ নিচ্ছে হরতাল-অবরোধের। স্থবির হয়ে পড়ছে জনজীবন। একটি কর্মসূচিতে গুলিস্তানে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে এক নিরীহ পথচারী নিহত হওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। এক দল কর্মসূচির তারিখ পেছালে আরেক দলও পিছিয়ে নিচ্ছে সেই একই তারিখে। এই পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি ও জনভোগান্তির শেষ কোথায় বা সমাধান কোন পথে? এ বিষয়ে বিশিষ্টজনরা দিয়েছেন মিশ্র মতামত। আর রাজনৈতিক নেতারা দায় চাপাচ্ছেন একে অপরের ওপর।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক জাগো নিউজকে বলেন, ‘নির্বাচন যত কাছাকাছি আসবে, তত জনসমাবেশের সংখ্যা বাড়বে। এখন দুটো রাজনৈতিক দল একই দিনে সমাবেশ করছে, সামনে অন্যরাও করবে। আমরা মনে করি, এ সমাবেশগুলো যেন সড়কে-মহাসড়কে না হয়। এগুলো যেন উন্মুক্ত মাঠে করা হয়। আমার ধারণা ডিএমপি থেকে তাদের এই পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। গণতন্ত্রে সমাবেশ করার অধিকার সব রাজনৈতিক দলের আছে, তারা করুক। কিন্তু এ কারণে যেন জনগণের চলাফেরার স্বাধীনতা খর্ব না হয়।’
এ ধরনের সমস্যার কোনো সমাধান দেখছেন না ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ‘এগুলোর (পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি) কোনো সমাধান হবে না। তিন দশক ধরে নির্বাচনের ঠিক আগে এগুলো হয়ে আসছে। যারা এসব কর্মসূচি দিচ্ছেন, তাদের কাছে জনগণ আসলে কিছু না, ভোটের দিনই জনগণের গুরুত্ব। জনগণও এমন যে, তারা প্রতিবাদ করতে জানে না বা প্রতিবাদ করতে চায় না। ভাবে যে, তার হয়ে প্রতিবাদটা অন্য একজন করে দেবে। তাহলে তো এ অবস্থা চলবেই। এটা থেকে আমাদের শিগগির নিস্তার নেই। এটা আমাদের মেনে নিতে হবে। যতক্ষণ না সাধারণ মানুষ ক্ষিপ্ত হয়ে বলে- আমরা ভোট দিতে যাবো না বা যিনি জনদুর্ভোগ করবেন, আমরা তার সঙ্গে নেই। তারা (জনগণ) নেমে যদি প্রতিবাদ না জানায়, তাহলে কিছু হবে না।’