ডেঙ্গু রোগীর চাপ বাড়ায় সরকারি হাসপাতালগুলোর মতো বেসরকারিতেও দেখা দিয়েছে শয্যাসংকট। কোনো হাসপাতালে একেবারেই শয্যা মিলছে না, কোনোটিতে আবার রোগীকে জরুরি বিভাগে রেখে শয্যা খালি হলে ভর্তি নেওয়া হচ্ছে। হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোতে ডেঙ্গু শনাক্তকরণ পরীক্ষার হারও বেড়েছে স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় ১০ গুণ। অতিরিক্ত এই চাপে হিমশিম খাচ্ছে স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানগুলো।
ডেঙ্গু আক্রান্ত বৃদ্ধ মাকে নিয়ে গতকাল সকাল থেকে মোহাম্মদপুর ও ধানমন্ডি এলাকার পাঁচ হাসপাতালে ঘুরেছেন বেসরকারি টেলিকম প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা শাকিল আহমেদ। কোথাও শয্যা ফাঁকা পাননি। দুপুরে ধানমন্ডির ল্যাবএইড হাসপাতালের লবিতে দাঁড়িয়ে কথা হয় তাঁর সঙ্গে। শাকিল বলেন, ‘সরকারি হাসপাতালে শয্যা পাব না জানা ছিল। কিন্তু বেসরকারিতেও শয্যা পেতে এতগুলো হাসপাতাল ঘুরতে হবে ভাবিনি।’
একই বক্তব্য বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত লায়লা জামানের। তিনি বলেন, হাসপাতাল থেকে অপেক্ষায় থাকতে বলেছে। শয্যা খালি হলে জানানো হবে।
এদিকে ডেঙ্গু শনাক্তকরণ পরীক্ষার জন্য আসা রোগীদের চাপ অন্তত ১০ গুণ বেড়ে গেছে হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোতে। এসব প্রতিষ্ঠানে বিল পরিশোধ, রক্তের নমুনা সংগ্রহ ও রিপোর্ট ডেলিভারি কাউন্টারগুলোয় লেগে আছে অস্বাভাবিক ভিড়।
গতকাল ধানমন্ডির কমফোর্ট ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বলেন, ‘প্রতিদিন এক শর বেশি রোগী রক্ত পরীক্ষার জন্য আসছে। স্বাভাবিক সময়ে ১০ জনও আসত না। প্রতিদিন আমাদের দেড় শর মতো ডেঙ্গু পরীক্ষার কিট লাগছে। রোগীর চাপ অন্তত ১০ গুণ বেড়েছে।’