জব্দের আগেই ব্যাংক খালি করেন লোটাস কামাল

কালবেলা প্রকাশিত: ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:২৯

সরকার পরিবর্তনের আভাস পেয়েই গত জানুয়ারি থেকে নিজেদের ব্যক্তিগত ব্যাংক হিসাব খালি করে বিদেশে পালিয়েছেন আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ওরফে লোটাস কামাল ও তার পরিবার। গত জানুয়ারি থেকে তারা ব্যাংক থেকে তুলে নিয়েছেন সাড়ে ৬০০ কোটি টাকা। বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) জব্দ করা ব্যাংক হিসাবে অবশ্য পাওয়া গেছে ৮০ কোটি টাকার বেশি। মূলত ব্যাংকে তারল্য সংকটের কারণে পুরো অর্থ তুলে নিতে পারেননি। অভিযোগ আছে, সাবেক এই মন্ত্রী ব্যাংক, পুঁজিবাজার ও সরকারি প্রকল্প থেকে লুটেছেন হাজার হাজার কোটি টাকা। সাম্রাজ্য গড়েছেন দুবাই, সিঙ্গাপুরসহ বিভিন্ন দেশে।


২০০৮ সাল থেকে টানা ১৬ বছর কুমিল্লা-১০ (নাঙ্গলকোট, সদর দক্ষিণ ও লালমাই উপজেলা) আসনের এমপি ছিলেন আবু হেনা মোহাম্মদ (আ হ ম) মুস্তফা কামাল। তিনি পরিচিত লোটাস কামাল নামে। আওয়ামী লীগের হয়ে পাঁচবার সংসদ সদস্য হওয়া এই চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ক্রিকেট সংগঠকও। সব পরিচয় ছাপিয়ে লোটাস কামাল একজন বিশেষজ্ঞ অর্থনীতিবিদ। অথচ তার হাতেই দেশের অর্থনীতি বলা চলে পঙ্গুত্ব বরণ করেছে। শেখ হাসিনা সরকারের পতন আঁচ করতে পেরে গত ১৫ জুলাই লোটাস কামাল ও নাফিসা কামাল দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। এর আগেই তাদের ব্যাংক থেকে তুলে নিয়েছেন সিংহভাগ অর্থ। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে গত ২২ আগস্ট লোটাস কামাল, তার স্ত্রী কাশমিরী কামাল ও মেয়ে নাফিসা কামালের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ করে বিএফআইইউ।


তথ্য বলছে, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকাকালে ২০১০ সালের পুঁজিবাজার কারসাজি, মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর সিন্ডিকেট থেকে শুরু করে ব্যাপক দুর্নীতি ও লুটপাট করেছেন কামাল দম্পতি। মেয়ে নাফিসা কামাল বাবার প্রভাব খাটিয়ে গড়েছেন সম্পদের পাহাড়। বিভিন্ন সময় সরকারের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থাকায় কোনো সংস্থাই এসব অনিয়মের বিষয়ে টুঁ শব্দও করতে পারেনি। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি), আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা বিএফআইইউতে তাদের বিরুদ্ধে শত শত অভিযোগ জমা হয়েছে। একই সঙ্গে তদন্তে বেরিয়ে আসছে ব্যাপক অনিয়মের প্রমাণ।


সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us