২০০৮ সালের নির্বাচনে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ক্ষমতায় আসে আওয়ামী লীগ। নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী শুরু করে ১৯৭১-এর স্বাধীনতা যুদ্ধে হত্যা, লুট ও ধর্ষণের অংশগ্রহণকারীদের মানবতা বিরোধী অপরাধের বিচার। স্বাভাবিকভাবেই খড়্গ নেমে আসে জামায়াতে ইসলামীর ওপর। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়ে জামায়াতের কেন্দ্রীয় বেশ কয়েকজন নেতার ফাঁসি হয়, আমৃত্যু সাজা হয়।
আইনি লড়াইয়ের পাশাপাশি এই বিচারিক প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে সারাদেশে আন্দোলনে নামে জামাত-শিবির কর্মীরা। খুব দ্রুতই এই আন্দোলন সহিংস রূপ নেয়। পুলিশের সাথে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে প্রাণ হারান বহু পুলিশ সদস্যও। হামলার শিকার হয় সরকারি স্থাপনা। একটা যুদ্ধাবস্থা বিরাজ করে দীর্ঘ সময়। সরকারও চড়াও হয় জামায়াতের ওপর। কোথাও মিছিল, মিটিং তো দূরের কথা, জমায়েতও হতে পারছিল না দল এবং এর সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।
প্রকাশ্যে সংগঠনটি বড় ধরনের সভা-সমাবেশ করতে পারেনি সেই থেকে। তবে দলের নেতা-কর্মীরা গোপনে যে ঠিকই তৎপর ছিল সেটা সবারই জানা। সম্প্রতি দলটির নেতা-কর্মীদের তৎপরতা বেড়েছে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে দলটির নেতারা এবার প্রকাশ্যে আসতে শুরু করেছেন।