পুরান ঢাকার ব্যস্ততম এলাকা সূত্রাপুরের বানিয়ানগর মোড়। এই মোড়ে ৩০ ডিসেম্বর সন্ধ্যা পৌনে ছয়টার দিকে বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের ২০ থেকে ২৫ নেতা-কর্মী সরকারবিরোধী স্লোগান দিতে শুরু করেন। সরকারবিরোধী স্লোগান দিতে নিষেধ করলে তাঁরা অতর্কিতভাবে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা চালান। পরে হত্যার উদ্দেশ্যে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটান।
ঢাকা দক্ষিণ সিটির ৪৩ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতা খয়ের উদ্দিন আহমেদের করা মামলার এজাহারের ভাষ্য এটি। কিন্তু ঘটনাস্থলের ও আশপাশের লোকজনকে জিজ্ঞাসা করলে কেউ এমন ঘটনা দেখেছেন বা শুনেছেন, সেটা বলতে পারেননি।
পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে বিস্ফোরিত ককটেলের অংশবিশেষ এবং ২টি অবিস্ফোরিত ককটেল আলামত হিসেবে জব্দ করেছে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়। কিন্তু মামলার বাদী ইটপাটকেল ছুড়েছে বলে দাবি করলেও কোনো ককটেল হামলা হয়নি বলে জানান।
এ রকম হামলার অভিযোগ এনে গত সাত মাসে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় কেবল আওয়ামী লীগের নেতারা বাদী হয়ে ৪০টি মামলা করেছেন। গত বছরের ১৭ নভেম্বর থেকে চলতি বছরের ৩০ মে পর্যন্ত সময়ে করা এসব মামলায় আসামি হিসেবে বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের ১ হাজার ৭০১ জন নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখ করা হয়। অজ্ঞাতনামা আসামির সংখ্যা আরও ২ হাজার ৫৭৫ জন।
বিএনপির নেতাদের দাবি, এ সবই ‘গায়েবি মামলা’। অর্থাৎ, ঘটনা ঘটেনি, তারপরও মামলা দেওয়া হয়েছে। যার কারণে মামলার বিবরণ ও ধারা প্রায় একই রকম।