সামনের জাতীয় নির্বাচনটি গ্রহণযোগ্য করা যে জরুরি, সে বিষয়ে অস্পষ্ট হলেও একটা ঐকমত্য গড়ে উঠেছে দেশের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে। কী কী শর্ত পূরণ হলে একটি নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হয়, সেটাও অজানা নয়। নির্বাচন সব সময়ই হতে হবে সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ। এই শব্দগুলো আমরা মাথায় গেঁথে নিয়েছিলাম এরশাদের সামরিক শাসনবিরোধী আন্দোলনে একটি গ্রহণযোগ্য জাতীয় নির্বাচন আদায় করতে গিয়ে। সে লক্ষ্য অর্জিত হয়েছিল শুধু আন্দোলনে নয়—আন্দোলনকারী দলগুলোর ঐতিহাসিক সমঝোতার মাধ্যমে। গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে রাষ্ট্রক্ষমতায় জনপ্রতিনিধিত্ব কায়েমের লক্ষ্যে সাংবিধানিক বিধিবিধানের বাইরে গিয়ে কেবল রাজনৈতিক ঐকমত্যের ভিত্তিতে একটি নির্বাচনকালীন সরকার তখন গঠিত হয়েছিল। তার নেতৃত্বে আয়োজিত নির্বাচনটি ‘অংশগ্রহণমূলক’ও হয়। এতটাই অংশগ্রহণমূলক যে ক্ষমতাচ্যুত সেনাশাসকের দল জাতীয় পার্টিও তাতে অংশ নেয় এবং উল্লেখযোগ্যসংখ্যক আসন পেয়ে অনেককে বিস্মিত করে।