বেসরকারি খাতের বিনিয়োগ দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির গতিপথ নির্ধারণে একটি গুরুত্বপূর্ণ চালিকা শক্তি। তবে বেশ কয়েক বছর ধরেই দেশে বিনিয়োগের অবস্থা একটি জায়গায় স্থবির হয়ে আছে।
বিশেষ করে বেসরকারি খাতের বিনিয়োগের মধ্যে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই) পরিস্থিতি আরও নাজুক পর্যায়ে রয়েছে। জিডিপিতে এফডিআইয়ের অনুপাত এখনো ১ শতাংশের কম, যা প্রতিযোগী অন্যান্য দেশের তুলনায় সবচেয়ে কম। যদিও এফডিআই বেসরকারি বিনিয়োগকে আকৃষ্ট করার পাশাপাশি অর্থনীতিকে বৈচিত্র্যপূর্ণ করে তুলতে সহায়তা করে।
এফডিআই আকর্ষণ করতে বাংলাদেশের ইতিবাচক গল্পগুলো বহির্বিশ্বে তুলে ধরতে হবে। মোদ্দাকথা, বাংলাদেশের ব্র্যান্ডিং জোরদার করতে হবে। কর–ব্যবস্থাকে সহজীকরণ করার পাশাপাশি কাস্টমস, অর্থাৎ শুল্ক বিভাগের কার্যক্রমে স্বচ্ছতা বাড়ানো ও অনানুষ্ঠানিক লেনদেন বন্ধ করা জরুরি।
দেশের ব্যবসায়ী–শিল্পপতিদের শীর্ষ সংগঠন দ্য ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) আয়োজিত ‘বাংলাদেশ বিজনেস সামিট ২০২৩’ শীর্ষক সম্মেলনের আউটকাম রিপোর্ট বা প্রতিবেদনে এসব সুপারিশ করা হয়েছে।
এই প্রতিবেদনে দেশে ব্যবসা-বাণিজ্য-বিনিয়োগের প্রসার ও এসব ক্ষেত্রে বিদ্যমান বাধাগুলো দূর করতে ১০টি খাত বা বিষয়ে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদে বাস্তবায়নের জন্য ৯০ দফা সুপারিশ করা হয়েছে। ডিজিটাল অর্থনীতি, অবকাঠামো, সরকারি-বেসরকারি সংলাপ, রপ্তানি প্রতিযোগিতা সক্ষমতা, বিনিয়োগ আকর্ষণ, কর খাতের সংস্কার, অর্থায়ন, ব্যবসা পরিবেশ ও প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বিষয়ে সুপারিশগুলো করা হয়েছে।