‘আমাদের সমস্যা আমরাই সমাধান করিব....’

প্রথম আলো সোহরাব হাসান প্রকাশিত: ৩০ জুন ২০২৩, ০৯:৩২

মাসখানেক আগে কুড়িগ্রাম গিয়েছিলাম একটি আলোচনা অনুষ্ঠানে। অনুষ্ঠানের বাইরে সেখানে বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার মানুষের সঙ্গে আলাপ হয়। তাঁদের কেউ আওয়ামী লীগের সমর্থক, কেউ বিএনপির সমর্থক, আবার কেউবা নিঃসঙ্গ বামধারার পতাকা ধরে আছেন। আলোচনা প্রসঙ্গে তাঁরা জানালেন, কুড়িগ্রামে রাজনৈতিক হানাহানি নেই। বিভিন্ন জাতীয় দিবসে যে যাঁর কর্মসূচি পালন করেন, সমস্যা হয় না। এক দলের নেতারা অন্য দলের কোনো নেতা-কর্মী বিপদে পড়লে এগিয়েও আসেন। শত শত বছর তাঁরা একসঙ্গে বাস করে আসছেন, কখনো এক পাতে খানও। সবকিছু দলীয় চশমা দিয়ে দেখতে চান না তৃণমূলের এসব নেতা-কর্মী।


ঢাকায় বসে যেসব বড় নেতা বক্তৃতা-বিবৃতিতে হরহামেশা প্রতিপক্ষকে তুলাধোনা করেন, তাঁরা তৃণমূলের, অর্থাৎ সাধারণ মানুষের ভাষাটা বোঝেন বলে মনে হয় না। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের কথাবার্তায় মনে হয়, তাঁরা একুশ শতকের শেষ দিন পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকবেন। কেউ ক্ষমতা থেকে নামাতে পারবেন না। অন্যদিকে বিএনপির বড় নেতারা কর্মী-সমর্থকদের এই ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করছেন যে তাঁরা ক্ষমতায় এসেই গেছেন। আওয়ামী লীগের বিদায়ঘণ্টা বেজে গেছে।


১৯ জুন বাংলাদেশ এন্টারপ্রাইজ ইনস্টিটিউট (বিএআই) জাতীয় পর্যায়ে একটি মতবিনিময় সভার আয়োজন করেছিল। এতে সংসদ সদস্য ও সাবেক মন্ত্রীরা ছিলেন। ছিলেন আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি, ক্ষমতাসীন ও বিরোধী মোর্চার অংশীজন, বাম ও ইসলামি ধারার নেতারাও।  সভায় একটি বিষয় লক্ষ করলাম, বামদের মতো ইসলামি ধারার নেতারাও নিজেদের আওয়ামী ও বিএনপির শিবিরে ভাগ করে নিয়েছেন। রাজনীতিকদের বাইরে নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি, কূটনীতিক, সাংবাদিক, নির্বাচনবিশেষজ্ঞরাও আলোচনায় অংশ নিয়েছেন।


সার্বিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হলেও মূল বিষয় ছিল দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতারা সংকটের জন্য একে অপরকে দায়ী করেছেন। এক পক্ষ সংবিধান থেকে একচুলও নড়বেন না বলে জানিয়ে দিয়েছে। আরেক পক্ষ বলেছে, দলীয় সরকারের অধীন কোনো নির্বাচন হবে না। তাদের কণ্ঠে সমঝোতার কোনো আভাস ছিল না। তাঁদের কথা হলো, ‘আলোচনা মানি; কিন্তু তালগাছটি আমার।’

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ঘটনা প্রবাহ

ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us