সত্যি বলতে পিপাসা মেটাতে সুপেয় পানির সঙ্গে কোনো কিছুর তুলনা চলে না।
তবে স্কটল্যান্ডের ‘সেন্ট অ্যান্ড্রোজ ইউনিভার্সিটি’র করা গবেষণার ফল বলছে, পানির তুলনায় অন্যান্য পানীয় দেহ আর্দ্র রাখার ক্ষেত্রে ভিন্নভাবে প্রভাব রাখে।
গবেষকরা দেখেছেন যেখানে সাধারণ পানি এবং ‘স্পার্কলিং ওয়াটার’ দেহ আর্দ্র রাখতে যতটা না ভালো কাজ করে, তার চেয়েও বেশি কার্যকর হয় যদি অল্প চিনি, চর্বি বা প্রোটিন যুক্ত পানীয় পান করা যায়।
এর কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে সিএনএন ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে প্রধান গবেষক ও ‘সেন্ট অ্যান্ড্রোজ স্কুল অফ মেডিসিন’য়ের অধ্যাপক রোনাল্ড মগান বলেন, “পানীয়র ঘনত্বটা এখানে আসল উপকরণ। বেশি পান করা সাথে তাড়াতাড়ি পেট থেকে সেটা রক্ত প্রবাহের মাধ্যমে দেহের তরলের সাথে মিশে আর্দ্র করার সাথে বিষয়টা সম্পর্কিত।”
য়ে কারণে পানির চাইতে দুধ বেশি আর্দ্র রাখতে পারে
আর্দ্র রাখার ক্ষেত্রে আরেকটি উৎপাদক হল পানীয়তে থাকা পুষ্টি উপাদান।
যেমন- পানির চাইতেও দুধ দেহকে বেশি আর্দ্র রাখতে পারে কারণ এতে থাকা ‘ল্যাক্টোজ’ যা এক প্রকার চিনি। সঙ্গে রয়েছে কিছু প্রোটিন ও চর্বি।
যে কারণে এই তরল ধীরে পাকস্থলী থেকে খালি হয় আর বেশি সময় ধরে আর্দ্র রাখতে সাহায্য করে।
দুধে সোডিয়ামও আছে, যা স্পঞ্জের মতো কাজ করে দেহে পানি ধরে রাখে। ফলাফল হল প্রস্রাবের কম উৎপাদন।