আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম বলেছেন, আগামী নির্বাচনে কাউকে দাওয়াত দিয়ে আনা হবে না। এই দায়িত্ব আওয়ামী লীগ নেয়নি। যারা আসবে, তাদের নিয়েই সংবিধান অনুযায়ী সময়মতো নির্বাচন হবে। শেখ হাসিনার সরকারের অধীনেই নির্বাচন কমিশন এই নির্বাচন পরিচালনা করবে।
মঙ্গলবার রাজধানীর ভাসানটেক সরকারি কলেজ মাঠে ঈদুল ফিতর উপলক্ষে যুবলীগের উদ্যোগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঈদ উপহার বিতরণ অনুষ্ঠানে মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘নির্বাচনে না এসে বিএনপি ওই নির্বাচন বানচাল করতে উল্টোপথে কোনো কাজ-কর্ম করলে দেশের জনগণও বসে থাকবে না। এই ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আওয়ামী লীগও প্রস্তুত আছে। যারা সংসদ, আইন ও গণতন্ত্র মানে না- তাদের সঙ্গে কোনো আপোস নেই।’
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে আগুনের ঘটনা নাশকতার ষড়যন্ত্র কি-না সেটা সর্বোচ্চ গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখতে হবে। জনগণ অনুমান করে, এর জন্য বিএনপি দায়ী। বিএনপির শরিক জামায়াত তো আগুন দেওয়ার প্রবর্তক; ১৯৭১ সালই তার প্রমাণ। আর ২০১৪ সালে এই জামায়াতকে সঙ্গে নিয়ে বিএনপি অগ্নিসন্ত্রাস করেছে। সুতরাং তাদের সন্দেহ করার যথেষ্ট কারণ আছে। দেশ ও মুক্তিযুদ্ধবিরোধী ষড়যন্ত্র ও সন্ত্রাসে যুক্ত থাকার দায়ে বিএনপির রাজনীতি নিষিদ্ধ করার আহ্বান জানান তিনি।