আটকের ২০ ঘণ্টা পর শামসুজ্জামানকে গ্রেপ্তারে অবিশ্বাস্য অভিযান

প্রথম আলো প্রকাশিত: ৩০ মার্চ ২০২৩, ২২:৫৫

প্রথম আলোর সাংবাদিক শামসুজ্জামানকে সাভারের বাসা থেকে বুধবার ভোর চারটার দিকে সিআইডি পরিচয়ে তুলে নেওয়া হয়। আজ বৃহস্পতিবার সকালে আদালতে হাজির করা হয়। তার আগ পর্যন্ত সিআইডি বা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কেউ তাঁকে আটক বা তুলে নেওয়ার কথা স্বীকার করেনি।


তুলে নেওয়ার ৩০ ঘণ্টা পর শামসুজ্জামানকে আদালতে হাজির করে পুলিশ প্রতিবেদন দিয়ে জানাল, তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে শামসুজ্জামানকে বুধবার মধ্যরাতে ঢাকার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের সামনে থেকে গ্রেপ্তার করেছে।


যদিও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান আজ সাংবাদিকদের বলেছেন, প্রাথমিকভাবে প্রথম আলো ও একাত্তর টেলিভিশনের তথ্যের জন্য সিআইডি তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়েছিল। জিজ্ঞাসাবাদ করে তাঁকে ছেড়ে দেওয়ার পর বিভিন্ন স্থানে আরও মামলা হয়েছে, সেসব মামলায় তাঁকে আবার গ্রেপ্তার করা হয়েছে।


এর আগে বুধবার দিনভর সরকারের একাধিক মন্ত্রী কয়েক দফায় প্রথম আলোকে বলেছিলেন, শামসুজ্জামানকে ছেড়ে দেওয়া হবে। শেষ পর্যন্ত ছেড়ে দেওয়া হয়নি। এমন একটা পরিস্থিতিতে বুধবার দিবাগত রাত ১২টা ৩৬ মিনিটে শামসুজ্জামানের ফোন থেকে প্রথম আলোর একজন সহকর্মীর কাছে ফোন আসে। ফোনে শামসুজ্জামান বলেন, তাঁকে চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রের (বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র) সামনে সিআইডি নামিয়ে দিচ্ছে। এরপর শামসুজ্জামান বলেন, সেখানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর আরেকটি দল দেখতে পাচ্ছেন। কল চালু থাকা অবস্থায় শামসুজ্জামান কাউকে বলছিলেন, ‘ভাই আমাকে আরেকটু সামনে নামিয়ে দিয়ে আসেন না।’  


শামসুজ্জামানের এই কল পাওয়ার ১০ মিনিটের মাথায় প্রথম আলোর দুজন কর্মী মটরসাইকেলে সেখানে পৌঁছান। কিন্তু সেখানে শামসুজ্জামানকে পাওয়া যায়নি। তাঁর ফোনে কল করা হলে তা ধরা হয়নি। পরে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। এরপর প্রথম আলোর কর্মীরা অনেকক্ষণ সেখানে অবস্থান করেন, আশপাশে খোঁজ করেও তাঁকে পাননি।


এই অবস্থায় রাত ১২টা ৩০ মিনিটে রমনা থানা পুলিশ কীভাবে শামসুজ্জামানকে একই স্থান থেকে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করল, সেটা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কেবল তাই নয়, প্রথম আলোর সম্পাদকের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হচ্ছে, এমন খবর পেয়ে প্রথম আলোর দুজন প্রতিবেদকসহ একাধিক গণমাধ্যমের সংবাদকর্মী বুধবার দিবাগত রাত ১২টা ৩০ মিনিটে রমনা থানায় যান। তাঁদের থানায় প্রবেশে করতে না দেওয়ায় রাত ২টা পর্যন্ত থানার ফটকেই তাঁরা অবস্থান করেন। তাঁরাও রমনা থানায় শামসুজ্জামানকে নিয়ে আসতে দেখেননি। যদিও ওই রাতে রমনা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলাটিতে প্রথম আলোর সম্পাদকের সঙ্গে শামসুজ্জামানকেও আসামি করা হয়। ওই মামলায়ই তাঁকে পরদিন সকালে আদালতে হাজির করে ‘গ্রেপ্তার অভিযান’ চালানোর কথা বলা হয়।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ঘটনা প্রবাহ

ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us