বিএনপি ও গণতন্ত্র মঞ্চের মধ্যে দূরত্ব

বাংলা ট্রিবিউন প্রকাশিত: ৩০ মার্চ ২০২৩, ২০:২৯

বিগত বছরের ৩০ ডিসেম্বর গণমিছিলের মধ্য দিয়ে বিএনপির নেতৃত্বাধীন সমমনা বিরোধী দলগুলোর যুগপৎ কর্মসূচি শুরু হয়েছিল। যাত্রা শুরুর তিন মাসের মধ্যেই সরকারবিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় গণতন্ত্র মঞ্চের সঙ্গে মনোমালিন্য শুরু হয়েছে বিএনপির। আর  মনোমালিন্যের পেছনে বিএনপির ভূমিকাকেই দায়ী করছেন সাত দলীয় গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা।


গণতন্ত্র মঞ্চের উল্লেখযোগ্য শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে আলাপকালে জানা গেছে, যৌথ ঘোষণা ও কর্মসূচি প্রণয়ন নিয়ে বিএনপির পক্ষ থেকে কোনও সমন্বয় করা হচ্ছে না। অন্তত মাসখানেক আগে বিএনপির ১০ দফা ঘোষণা, ২৭ দফা দাবি ও গণমন্ত্র মঞ্চের ১৪ দফা মিলিয়ে সাত দফা তৈরি করেছিলেন মঞ্চের নেতারা। এই প্রস্তাব বিএনপির হাতে পৌঁছানোর অন্তত তিন সপ্তাহ পার হলেও দলটির পক্ষ থেকে কিছুই বলা হয়নি।


বিএনপির স্থায়ী কমিটির একজন নেতা বলেন, ‘বিএনপির ১০ দফা ইতোমধ্যে মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে। এখন আবার নতুন দফা সামনে আনার বিষয়টি কেমন দেখাবে? আর এই যৌথ ঘোষণা নিয়ে দলেও আলোচনা করতে হবে।’


গণতন্ত্র মঞ্চের একটি দলের প্রধান উল্লেখ করেন, পহেলা রমজানে বিএনপির পক্ষ থেকে ১ এপ্রিল কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। অথচ এই কর্মসূচি নিয়ে কোনও আলোচনাই করা হয়নি। আমাদের জানানো হয়েছে ফোনে মেসেজের মাধ্যমে।


সাত দলীয় গণতন্ত্র মঞ্চের আরেক নেতা অভিযোগ করেছেন— বিএনপির আচরণ প্রপার নয়। তারা নিঃসন্দেহে বড় পক্ষ। কিন্তু তারা শুরু থেকে মতামত চাইতো, জিজ্ঞেস করতো। কিন্তু বিগত অন্তত দেড় মাস ধরে তাদের পক্ষ থেকে সমন্বয় করা হচ্ছে না।


যুগপতে যুক্ত থাকা একটি দলের সাধারণ সম্পাদক মনে করেন, গণতন্ত্র মঞ্চের সঙ্গে বিএনপির দূরত্ব সৃষ্টি হওয়ার পেছনে ভূমিকা রয়েছে বিএনপির অভ্যন্তরীণ জটিলতা। তাদের ভেতরকার কোনও জটিলতা এই উদ্যোগে প্রভাব ফেলছে।


বিএনপির সঙ্গে মঞ্চের দূরত্ব সৃষ্টির বিষয়টিকে ‘অনাকাঙ্ক্ষিত’ বলে মন্তব্য করেছেন গণতন্ত্র মঞ্চের অন্যতম নেতা, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক। বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমরা আলাপ-আলোচনা করছি। আমাদের মধ্যে অনাকাঙ্ক্ষিত দূরত্ব তৈরি হয়েছে। আশা করি, সেটা কাটিয়ে উঠতে পারবো।’


মঞ্চের একাধিক নেতা জানান, সাত দলীয় মঞ্চে রয়েছে— জেএসডি, নাগরিক ঐক্য, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, গণঅধিকার পরিষদ, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন, ভাসানী অনুসারী পরিষদ ও গণসংহতি আন্দোলন। এই দলগুলোর নেতাদের প্রত্যেকেরই সামাজিক-রাজনৈতিক অবস্থান ও গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে।


মঞ্চের একটি দলের প্রথম সারির একজন নেতা বলেন, ‘সাত দলের শক্তিমত্তা কম। বিএনপি বড় দল। কিন্তু বিএনপি তাদের সঙ্গে ঐক্য করেছে মূলত সামাজিক-রাজনৈতিক অবস্থান ও গ্রহণযোগ্যতার কারণেই। সেদিক থেকে বিএনপির আচরণ উপযুক্ত না।’

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us