প্রধানমন্ত্রীর ঠিক করে দেওয়া নতুন বেতন কাঠামো অনুযায়ী চা শ্রমিকদের বকেয়া থাকা ১১ হাজার টাকা ৭ মার্চের মধ্যেই পরিশোধ শুরু করার নির্দেশ দিয়েছে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়।
বুধবার রাতে রাজধানীর বিজয়নগর শ্রম ভবনে বাংলাদেশীয় চা সংসদ (মালিকপক্ষ) এবং বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়ন নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান এ ঘোষণা দেন।
পরে রাতেই শ্রম অধিদপ্তর থেকে এবিষয়ে একটি পরিপত্র জারি করা হয়। সেখানে বলা হয়, চা শ্রমিকরা বকেয়া মজুরি হিসাবে জনপ্রতি ১১ হাজার টাকা থোক বরাদ্দ পাবেন।
"এই অর্থ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ তিন কিস্তিতে পরিশোধ করবেন। যার মধ্যে প্রথম কিস্তি আগামী ৭ মার্চের আগেই পরিশোধ করতে হবে। বাকি দুই কিস্তি পরিশোধের সময় চা শ্রমিক এবং মালিকপক্ষ আলোচনা করে নির্ধারণ করবেন।"
দৈনিক মজুরি ১২০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩০০ টাকা করার দাবিতে গতবছর অক্টোবরে আন্দোলন শুরু করে দেশের চা বাগানগুলোর প্রায় দেড় লাখ শ্রমিক। সে সময় প্রায় তিন সপ্তাহ তারা কাজ বন্ধ রাখেন।
পরে ২৭ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চা শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি ১২০ টাকা থেকে ৫০ টাকা বাড়িয়ে ১৭০ টাকা নির্ধারণ করে দেন। সেই সাথে মজুরি নির্ধারণের পাশাপাশি বার্ষিক ছুটি, বেতনসহ উৎসব ছুটি, অসুস্থতা ছুটি বাড়ানোর ঘোষণা দেওয়া হয়।
প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণায় সে সময় বলা হয়, চিকিৎসা ব্যয়ের চাঁদা মালিকপক্ষ বহন করবে। ভবিষ্য তহবিলে নিয়োগকর্তার চাঁদা আনুপাতিক হারে বাড়বে।