ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধের জন্য জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে আনীত রেজুলেশন গ্রহণ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দিনগত রাতে রেজুলেশনটির ভোটাভুটিতে পক্ষে ১৪১ ভোট, বিপক্ষে সাতটি এবং ভোটদানে বিরত ছিলো ৩২টি দেশ।‘ইউএন চার্টার প্রিন্সিপ্যাল আনডারলাইয়িং এ কমপ্রিহেন্সিভ, জাস্ট অ্যান্ড লাস্টিং পিস ইন ইউক্রেন’ শীর্ষক ওই রেজুলেশনে বিভিন্ন দেশ দুইদিনব্যাপী তাদের মতামত তুলে ধরে। রেজুলেশনের খসড়ায় দুটি সংশোধনী প্রস্তাব ভোটে দেওয়া হলে বেশিরভাগ এর বিপক্ষে ভোট দেয়।
ইউক্রেনের ওই রেজুলেশনে বাংলাদেশ ভোট দানে বিরত ছিল। ২১ ফ্রেব্রুয়ারি বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত কামরুল আহসানকে রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ডেকে পাঠায়। তখনই ধারনা করা হয়েছিল যে বাংলাদেশ এই রেজুলেশনে ভোট দানে বিরত থাকবে। বর্তমানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন নিউ ইয়র্কে অবস্থান করছেন।দক্ষিণ এশিয়ার আটটি দেশের মধ্যে ভারত, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা ভোট দানে বিরত থাকে।
অন্যদিকে নেপাল, ভুটান, আফগানিস্তান ও মালদ্বীপ পক্ষে ভোট দেয়।১০ সদস্য বিশিষ্ট আসিয়ানের আটটি দেশ পক্ষে ভোট দেয়। ভিয়েতনাম ও লাউ পিডিআর ভোট দানে বিরত ছিল। একই সঙ্গে চীনও ভোট দানে বিরত থাকে।রেজুলেশনের বিপক্ষে ভোট দিয়েছে বেলারুশ, সিরিয়া, উত্তর কোরিয়া, মালি, ইরিত্রিয়া এবং রাশিয়া।এর আগে ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে আনা পাঁচটি রেজুলেশনের মধ্যে দুটিতে পক্ষে ভোট দেয় বাংলাদেশ এবং তিনটিতে ভোট দানে বিরত থাকে।এ বিষয়ে সাবেক পররাষ্ট্র সচিব মো. শহীদুল হক বলেন, ‘এধরনের রেজুলেশন যুদ্ধরত দুইপক্ষের জন্য গ্রহণযোগ্য না হলে সেটি গ্রহণ করা হলেও কার্যত কোনও প্রভাব রাখে না।
এই রেজুলেশন রাশিয়ার কাছে গ্রহণযোগ্য হয়নি।’তিনি বলেন, ‘শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হলে উভয়পক্ষের মুখরক্ষা করতে হবে। বর্তমান যে অবস্থা সেটি থেকে দেখা যাচ্ছে এখানে এক তরফাভাবে কেউ প্রাধান্য বিস্তার করছে না। যুদ্ধ বন্ধ করতে দুইপক্ষকে কমপ্রোমাইজ করতে হবে এবং সেটির জন্য একটি ক্ষেত্র লাগবে।’গত এক বছর ধরে রাশিয়া ইউক্রেনে যুদ্ধ করছে এবং ইউক্রেন পশ্চিমা বিশ্বের সহায়তায় শক্তিশালী রাশিয়ার বিরুদ্ধে দৃঢ় প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে বলে তিনি জানান।বাংলাদেশের অবস্থানের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এটিই সঠিক সিদ্ধান্ত।