‘সিলেট-১ আসন যাঁর, সরকার তাঁর,’ দেশের রাজনীতিতে প্রচলিত ‘মিথ’ এটা। স্বাধীনতার পর এ পর্যন্ত প্রতিটি সংসদ নির্বাচনে এই আসনে জয়ী সংসদ সদস্যের দলই সরকার গঠন করেছে। এ কথা মাথায় রেখে প্রতিটি দলই চায় শক্তিশালী প্রার্থীকে এই আসন থেকে নির্বাচনে মনোনয়ন দিতে। আগামী নির্বাচনেও হেভিওয়েট প্রার্থীদের দিকেই ঝুঁকতে পারে দুই প্রধান রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। বর্তমান সংসদ সদস্য ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন আছেন আওয়ামী লীগের আলোচনায়। আর বিএনপির পরিকল্পনা খন্দকার আবদুল মুক্তাদিরকে ঘিরে। তবে অনেকেই বলছেন, দুই দলেই চমক আসতে পারে।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের মধ্যে ড. এ কে আব্দুল মোমেনকে নিয়ে নানা আলোচনা থাকলেও আসনের মর্যাদা অনুযায়ী দলে তাঁর বিকল্প প্রার্থী নেই বললেই চলে। স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের অভিযোগ, মোমেন সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর তাঁদের সঙ্গে তাঁর দূরত্ব তৈরি হয়েছে। নেতাদের একটি অংশ এই আসনে প্রার্থীর পরিবর্তন চায়। এ কারণে চমক হিসেবে আলোচনায় রয়েছে বেশ কয়েকটি নাম। তাঁদের মধ্যে আওয়ামী লীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. ফরাস উদ্দিন, বিএনপি থেকে আগত সাবেক সচিব ইনাম আহমদ চৌধুরীর নাম শোনা যাচ্ছে।
আওয়ামী লীগের মতো বিএনপিতেও এমন দ্বিধা-দ্বন্দ্ব আছে প্রার্থী দেওয়া নিয়ে। নির্বাচনের প্রার্থী নিয়ে প্রকাশ্যে কথা বলতে রাজি নন দলটির নেতারা। তবে এখন পর্যন্ত খন্দকার আবদুল মুক্তাদির ছাড়া কারও নাম তেমন একটা আলোচনায় নেই। বর্তমানে তিনি মাঠেও সক্রিয়। আন্দোলন-সংগ্রামের পাশাপাশি সিলেটে দলকে সংগঠিত করতে নিরলস চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন এই নেতা। তবে চমক থাকতে পারে বিএনপিতেও। এলাকার মেয়ে হিসেবে তারেকপত্নী জোবাইদা রহমানকে এই আসনে প্রার্থী করতে পারে বিএনপি। তবে জোবাইদার দুদকের মামলা জটিলতার বিবেচনায় মেয়ে জাইমা রহমানকেও স্বচ্ছ প্রার্থী হিসেবে মনে করছেন দলটির অনেক নেতা।