সেই কৈশোরকাল থেকেই আর্জেন্টিনা ফুটবল দলের তুমুল সমর্থক। ১৯৭৮ বিশ্বকাপে মারিও কেম্পেসের প্রতিটি গোল এখনো স্পষ্ট মনে করতে পারেন। প্রথম বিশ্বকাপ জয়ের পথে আর্জেন্টিনার প্রতিটি ম্যাচ, প্রতিটি মুহূর্তও। এটা এমন ঘটা করে বলার মতো কিছু হতো না, যদি আর্জেন্টিনার সমর্থক এই ভদ্রলোক পোল্যান্ড দলের কোচ না হতেন!
নামটা খটোমটো। বেশ বড়ও। সেসওয়াফ মিখনিয়েভিৎস। মিখনিয়েভিৎসের আর্জেন্টিনা-প্রেম আলোচনাতেই আসত না, যদি বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার গ্রুপ পর্ব পেরোনোর পথে তাঁর দল বাধা হয়ে না দাঁড়াত। সৌদি আরবের কাছে বিশ্বকাপ–কাঁপানো ওই পরাজয়ের পর মেক্সিকোর বিপক্ষে জয় আর্জেন্টিনাকে একটা লাইফলাইন দিয়েছে সত্যি, কিন্তু পোল্যান্ডের বিপক্ষে আজকের ম্যাচেও তো নামতে হচ্ছে সেই একই শঙ্কা নিয়ে। হেরে গেলেই বিশ্বকাপ থেকে বিদায়।
ফ্রান্স, ব্রাজিল, পর্তুগালের জন্য গ্রুপের তৃতীয় ম্যাচটা শুধুই নিয়ম রক্ষার ম্যাচ। অন্য খেলোয়াড়দের একটু বাজিয়ে দেখার সুযোগও। সেখানে আর্জেন্টিনার জন্য প্রতিটি ম্যাচই ‘ফাইনাল’। এমন একটা পরিস্থিতিতে প্রিয় দলের মুখোমুখি হতে পেরে সেসওয়াফ মিখনিয়েভিৎসকে খুবই আনন্দিত বলে মনে হলো। ‘হ্যাঁ, আমি ছোটবেলা থেকেই আর্জেন্টিনা ফুটবল দলের সমর্থক। তার মানে এই নয় যে ওদের হারিয়ে দেওয়ার জন্য ঝাঁপিয়ে পড়ব না। মেক্সিকোর যে কোচ (টাটা মার্টিনো) আছে, সে তো আর্জেন্টাইনই। সে-ও কি পরের রাউন্ডে যেতে চাইছে না?’ এক সাংবাদিক তাঁর আর্জেন্টিনা-প্রেমের কথা মনে করিয়ে দেওয়ার পর হাসতে হাসতে পাল্টা প্রশ্ন করলেন পোলিশ কোচ।