ব্রাজিলের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে লুলা দা সিলভা বিজয়ী হলেও তার প্রতিদ্বন্দ্বী বলসোনারো তাৎক্ষনিক ফলাফল মেনে কোনো বিবৃতি প্রদান না করায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া ও আশঙ্কার সৃষ্টি হয়।
ব্রাজিলের রাজনৈতিক শিষ্টাচার অনুযায়ী, পরাজিত প্রার্থী তাৎক্ষনিক আনুষ্ঠানিক বিবৃতির মাধ্যমে তার বক্তব্য প্রকাশ করেন এবং বিজয়ীকে অভিনন্দন জানান। কিন্তু রক্ষণশীল বলসোনারোর সেটা করেননি। বরং এ সময় তার সমর্থকরা ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে ব্রাজিলের বিভিন্ন অঞ্চলে বিক্ষোভ করেছে।
এমন পরিস্থিতিতে দেশটির সর্বোচ্চ আদালত পরাজিত প্রার্থীর সমর্থকদের বিক্ষোভ বন্ধের এবং কর্তৃপক্ষকে সংবিধান অনুযায়ী প্রয়োজনীয় আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করতে নির্দেশনা দেন। এমন পরিস্থিতিতে বলসোনারো এক অতি সংক্ষিপ্ত বক্তব্যের মাধ্যমে তার পরাজয় মেনে নেওয়ার কথা বলেন, কিন্তু সেখানে লুলাকে অভিনন্দন জানানো, তাকে সহযোগিতা করার বিষয়ে কিছু বলেননি। এমনকি তার নামও উচ্চারণ করেননি।
এর মাধ্যমে একটা বিষয় পরিষ্কার যে লুলার ক্ষমতা গ্রহণ ও শাসনকাল সহজ হবে না। প্রতিপক্ষ তার পদে পদে কাটা বিছিয়ে রাখবে। আর লুলাকে সেই চ্যালেঞ্জ ও বাধা দূর করেই এগিয়ে যেতে হবে।
লুলাও স্বীকার করেছেন, এই নির্বাচনের মাধ্যমে ব্রাজিলের মানুষ ডান ও বাম ২ শিবিরে বিভক্ত হয়ে গেছে। তিনি বলেছেন, তার অন্যতম প্রধান কাজ হবে যতটা সম্ভব এই বিভক্তি দূর করে উন্নয়নের পরিবেশ তৈরি করা।