বুয়েটের ছাত্র আবরার ফাহাদকে হত্যা করা হয়েছে ঠিক, কিন্তু তার মৃত্যু ঘটেনি। তার নাম এখন আরও জীবন্ত। আবরার জীবন্ত রাজনীতিতে, আবরার জীবন্ত নিপীড়িতের ফরিয়াদে। যার নাম আগে কেউ জানত না, সে এখন প্রতিবাদ ও দেশপ্রেমের প্রতীকে পরিণত হয়েছে। নিপীড়িতরা এভাবেই তাদের বীর, তাদের নায়কের স্মৃতি বাঁচিয়ে রাখে। সামান্য মানুষ যখন অসামান্য প্রতীকে পরিণত হয়, তখন তাকে আর দমানো যায় না। এমন প্রতীককে ক্ষমতার ডাস্টার দিয়ে মোছাও যায় না।
আবরারকে ভোলেনি তার হত্যাকারীদের ভাই-বেরাদরেরাও। আবরারের আপন ছোট ভাই বুয়েটে ভর্তির যোগ্যতায় উত্তীর্ণ হয়েও ভীত। কারণ, তার ভাইয়ের হত্যাকারীদের দল, তাদের সমর্থকেরা এখনো সেখানে আছে। আবরারের নাম-নিশানাও তারা রাখতে চায় না। এ জন্য প্রতিবছর যেখানেই আবরারের স্মরণসভা হয়, সেখানেই তারা হামলা করে। এ বছরও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যে আবরারের স্মরণসভার ডাক দিয়েছিল তুলনামূলক নবীন সংগঠন ছাত্র অধিকার পরিষদ। ছাত্রলীগের একদল যুবক সেখানে হামলা করেছে, নেতা-কর্মীদের পিটিয়েছে এবং সভা ভন্ডুল করতে চেয়ার ভেঙেছে, আবরারের ছবিওয়ালা ব্যানারে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। তাদের আক্রোশ দেখে মনে হয়, তারা আবরারকে বারবার হত্যা করতে পারবে।