বাঙালির যা কিছু অর্জন তার সবকিছুর সঙ্গেই রয়েছে আওয়ামী লীগ। মুক্তিযুদ্ধ থেকে পদ্মা সেতু, স্যাটেলাইট-সাবমেরিন থেকে নদীর তলদেশে টানেল, অর্থনৈতিক উত্থানের বিস্ময় থেকে অন্তর্ভূক্তিমূলক উন্নয়ন সবকিছুতেই আওয়ামী লীগ। ৭৩ বছরের ঝঞ্চা বিক্ষুব্ধ পথচলায় আওয়ামী লীগের রাজনীতির অন্যতম মূলনীতি ছিল অসাম্প্রদায়িকতা। স্বাধীন বাংলাদেশ সৃষ্টির আগে ও পরে অসাম্প্রদায়িক রাজনীতির প্রচলন ও অনুসরণের পথিকৃত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।
আওয়ামী লীগের অসাম্প্রদায়িক রাজনীতির মূল কারিগর ছিলেন বঙ্গবন্ধু। অসমাপ্ত আত্মজীবনীতে বঙ্গবন্ধু লিখেছেন: ‘আমি মানুষকে মানুষ হিসেবেই দেখি। রাজনীতিতে আমার কাছে মুসলমান, হিন্দু ও খ্রিস্টান বলে কিছু নাই। সকলেই মানুষ।’ পাকিস্তানের পক্ষে সক্রিয় কর্মী হয়েও বঙ্গবন্ধু অসাম্প্রদায়িক মানবতাবোধকে হৃদয়ে ধারণ করেছিলেন। অসমাপ্ত আত্মজীবনীতে এই বিষয়ে লিখেছেন, ‘ভারতবর্ষেও মুসলমান থাকবে এবং পাকিস্তানেও হিন্দুরা থাকবে। সকলেই সমান অধিকার পাবে। পাকিস্তানের হিন্দুরাও স্বাধীন নাগরিক হিসাবে বাস করবে। ভারতবর্ষের মুসলমানরাও সমান অধিকার পাবে। পাকিস্তানের মুসলমানরা যেমন হিন্দুদের ভাই হিসাবে গ্রহণ করবে, ভারতবর্ষের হিন্দুরাও মুসলমানদের ভাই হিসাবে গ্রহণ করবে।’