ওজন কমাতে চাইলে খাদ্যতালিকায় প্রচুর পরিমাণে ফল এবং শাকসবজি রাখতেই হবে। একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, অধিকাংশ ফলেই ফাইবার থাকে। তাই এগুলো ওজন কমাতে সহায়ক। এক্ষেত্রে খাদ্যতালিকায় প্রিয় এবং সুস্বাদু আম রাখা যায় কি না তা নিয়ে অনেকেই দ্বন্দ্বে ভোগেন।
আমের স্বাস্থ্য উপকারিতা শেষ নেই। এতে প্রচুর পরিমাণে ফোলেট, ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ভিটামিন ই, ভিটামিন বি৫, ভিটামিন কে, ভিটামিন বি৬, পটাশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ-সহ ফাইবার, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট রয়েছে।
অন্যান্য ফলের তুলনায় আমে ক্যালোরির পরিমাণ খুব বেশি। কিন্তু খাদ্যতালিকা থেকে আম বাদ দিতে হবে। বরং একটু বুদ্ধি করে খেলে, এই ফল ওজন কমাবে । গবেষণায় দেখা গেছে, আমের বায়োঅ্যাকটিভ যৌগ এবং ফাইটোকেমিক্যাল ফ্যাট কোষ চর্বি-সম্পর্কিত জিনকে দমন করতে পারে। এ কারণে এই ফল ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক। তবে চর্বি কমানোর জন্য স্বাস্থ্যকর, প্রাকৃতিক এবং সুষম খাদ্যের পাশাপাশি নিয়মিত ব্যায়াম করাটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পরিমিত মাত্রায় আম খেলে শরীরের চর্বি এবং শর্করার মাত্রা কমবে। কিন্তু বেশি খেলে ওজন বেড়েও যেতে পারে। তাই দিনে একটা আম খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তারা।