পদ্মা নদী ছিল কীর্তিনাশা। একটিমাত্র সেতুর কারণে এখন হয়ে যাবে কীর্তিমান পদ্মা। এর ওপর দিয়েই জাতির নতুন সফলতা গাঁথা হবে, নতুন ইতিহাস তৈরি হবে। পদ্মা সেতু দিয়ে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডিং হয়েছে।
মঙ্গলবার রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে ‘জাতীয় অর্থনীতিতে পদ্মা সেতুর গুরুত্ব’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন। আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক উপকমিটি এ সেমিনারের আয়োজন করে।
সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, অনেক বাধা-বিপত্তির পরও নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে সাহসের পরিচয় দিয়েছেন, তা আগামী দিনে অনুপ্রেরণা জোগাবে। অনেকেই ভালো দেখতে পারেন না, কিছু খারাপ বলতেই হবে। পদ্মা সেতু নিয়েও তেমন হয়েছে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেন, অনেক ষড়যন্ত্রের মধ্যে পদ্মা সেতু নিয়ে শেখ হাসিনা সাহসী সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। আমি তখন তার (প্রধানমন্ত্রী) সঙ্গে ছিলাম। ষড়যন্ত্র যেটি হয়েছে, সেটি খুবই গভীর ষড়যন্ত্র ছিল। এটি এমন ছিল না যে কেউ কাউকে শিক্ষা দেওয়ার জন্য এমন করেছে। ষড়যন্ত্র ছিল বাংলাদেশে যেন এত বড় অবকাঠামো না হয়।
পদ্মা সেতু নিয়ে বিশ্বব্যাংকের অভিযোগকে ভিত্তিহীন উল্লেখ করে তিনি বলেন, কাজ তখনও শুরু হয়নি, কনস্ট্রাকশন শুরু হয়নি; তারা (বিশ্বব্যাংক) বলেছে, কনসালটেন্সিতে দুর্নীতি হয়েছে। যেটি (কনসালট্যান্ট) তখন নিয়োগই করা হয়নি। সেটি করার আগেই দুর্নীতি করার নাকি ইচ্ছা ছিল!
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এবং শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক উপকমিটির চেয়ারম্যান কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক সম্পাদক এবং উপকমিটির সদস্য সচিব সিদ্দিকুর রহমান।