সৎ থাকার নিদান আমরা প্রায় সময়ই পাই। রাষ্ট্র থেকে শুরু করে সমাজ, পরিবার, শিক্ষায়তন—সব জায়গাতেই আমাদের সততা শেখানো হয়। বলা হয়, সততাই সর্বোৎকৃষ্ট পন্থা। কিন্তু এসব শিক্ষা পাওয়ার পর একজন মানবসন্তান যখন নিষ্ঠুর সমাজে এসে পদে পদে অসৎ হওয়ার প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ দীক্ষা বা পরামর্শ পায়, তখন সে কী করবে?
কোনো মানুষই অসৎ হয়ে জন্মায় না। একটি শিশু তা-ই শেখে, যা তাকে শেখানো হয়। এই শেখানোর প্রক্রিয়া সর্বোৎকৃষ্ট হয়, যখন শিশুটির চারপাশের পরিবেশ সেই সততার চর্চার সহায়ক হয়। শিশুটি যখন ধীরে ধীরে বড় হতে থাকে, তখন একটা সময় সৎ থাকার সংগ্রামটা একান্তই তার নিজের হয়ে দাঁড়ায়। ওই সময়টায় যদি সে দেখে সততার জন্য রাষ্ট্রীয় ও সামাজিকভাবে পুরস্কৃত হওয়ার ব্যবস্থা আছে, তখন সৎ থাকার আকাঙ্ক্ষা স্বাভাবিকভাবেই উৎসাহিত হয়। আর এভাবেই একটা সমাজ, একটা রাষ্ট্র বা একটা জাতি একসময় পরিপূর্ণ সৎ হয়ে উঠতে পারে। কারণ, তখন সেখানে সৎ মানুষের সংখ্যাবৃদ্ধি ঘটে।