পদ্মা সেতু এখন আর স্বপ্ন নয়। পদ্মা সেতু এখন বাস্তব। এটা এখন বাংলদেশের জাতীয় সম্পদ। এ সেতু আমাদের অহংকার। ষড়যন্ত্রকে পদদলিত করে বিশ্বের বুকে মাথা উচুঁ করে দাঁড়ানোর প্রতিক। সেতুটি যখন ভ্রুণে রুপ নিতে চলছিল তখন থেকে এর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু হয়। বাংলার মা যাতে পদ্মা সেতুর মত একটি গর্বের সন্তান জম্ম দিতে না পারে তার জন্য শুরু হয়েছিল নানামুখী ষড়যন্ত্র, বাধা ও অপপ্রচার। স্বাধীনতা বিরোধী ও এক শ্রেণির বিকৃত মানসিকতার ব্যক্তিরাই দেশের উন্নয়নে ঈর্ষান্বিত হয়ে এ ষড়যন্ত্র করেছিল।
বিশ্বব্যাংকের টাকায় পদ্মা সেতু হওয়ার কথা ছিল। সে মোতাবেক ফিজিবিলিটি স্টাডি ও প্রকল্প তৈরি করা হয়। বিশ্বব্যাংক, এডিবি, আইডিবির ও জাইকার সাথে এগ্রিমেন্টও স্বাক্ষরিত হয়। কিন্তু দেশের মধ্যে একদল কুচক্রি মহল এ সেতুর বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়। তাঁর সাথে যোগ দেয় বিশ্বব্যাংক। তারা প্রচার করতে থাকে সেতু নির্মাণে শুরু থেকেই দুর্নীতি হয়েছে। অভিযোগ আছে তৎকালীন মার্কিন প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন ব্যক্তি ও ব্যক্তিবর্গের সাথে ঘনিষ্ঠতা আছে বাংলাদেশের এমন একজন ব্যক্তি বিশ্বব্যাংকের কাছে মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিশ্বব্যাংককে বুঝাতে সক্ষম হয়েছিলেন যে সেতু নির্মাণে যোগাযোগ মন্ত্রী, সচিব, পিডি ও অন্যান্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ দুর্নীতি করেছেন।