জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটের আকারটি প্রত্যাশিত এবং যথাযথই হয়েছে। বাজেটে যে ঘাটতি রয়েছে, তা-ও অযৌক্তিক নয়। তবে প্রশ্ন হচ্ছে, বাজেটে আয়ের সংস্থান কিভাবে হবে? বাজেটে ব্যয়ের খাত ও বরাদ্দগুলো যথেষ্ট ন্যায়সংগত হয়েছে কি না তা নিয়েও অনেক প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
মোটাদাগে আমি বাজেট বাস্তবায়নের দিকটিতেই বেশি আলোকপাত করতে চাই।
বাস্তবায়নই আমাদের বাজেটের সবচেয়ে দুর্বল দিক। প্রকল্প বাস্তবায়ন কিংবা যেকোনো প্রসারিত সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের কথাই বলি না কেন, বরাবরই বাজেট বাস্তবায়ন একটি দুরূহ ব্যাপার। বাজেটে বিষয়টি বিশেষভাবে সুনির্দিষ্ট করার দরকার ছিল। বাজেট যারা বাস্তবায়ন করবে, সরকারের বিভিন্ন নিয়ন্ত্রক সংস্থা, স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা, সরকারি ও আধাসরকারি কর্মচারী—যাদের ওপর বাস্তবায়নের দায়িত্ব বর্তায়, তাদের কর্মদক্ষতা, তাদের উদ্যোগ এবং তাদের জবাবদিহি নিশ্চিত করার বিষয়গুলো সুনির্দিষ্ট করার দরকার ছিল। কারণ বাজেট বাস্তবায়নের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিদের ভূমিকা নিয়ে অনেক প্রশ্ন আছে। ইদানীং এই প্রশ্নগুলো আরো বেশি দেখা দিচ্ছে।