পটুয়াখালীর পায়রায় দেশের সবচেয়ে বড় ও সর্বাধুনিক কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, যে কেন্দ্র ঘিরে বিদ্যুৎ উৎপাদনের একটি ‘হাব’ গড়ে তোলার লক্ষ্য রয়েছে সরকারের।
সোমবার পায়রায় কয়লাভিত্তিক এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণার পাশাপাশি দেশে শতভাগ বিদ্যুতায়নেরও ঘোষণা দেওয়ার কথা রয়েছে সরকারপ্রধানের।
ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারে করে সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পটুয়াখালী পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী। কোভিড মহামারী শুরুর পর গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার বাইরে দেশের অন্য কোথাও এটিই তার প্রথম সফর।
কলাপাড়ায় পৌঁছালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পুলিশ সদস্যরা গার্ড অব অনার দেন। এরপর প্রধানমন্ত্রী পায়রা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কোল জেটিতে যান।
পায়রায় পৌঁছানোর পর রাবনাবাদ নদীর কয়লা জেটিতে রঙিন পাল তোলা ২০০ নৌকা থেকে পতাকা উড়িয়ে এবং গানের সুরে প্রধানমন্ত্রীকে অভিবাদন জানানো হয়।
এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষসহ বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি পরিদর্শন করেন এবং মঞ্চে এসে বিদ্যুৎকেন্দ্রের নাম ফলক উন্মোচন করেন।
বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদনক্ষমতার স্মারক হিসেবে ১৩২০টি পায়রা এবং বেলুন ওড়ানো হয় এ সময়।
পায়রা নদীর তীরে এক হাজার একর জমিতে গড়ে তোলা আলট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল প্রযুক্তির এ বিদ্যুৎকেন্দ্র উৎপাদন ক্ষমতার দিক দিয়ে বর্তমানে দেশের সবচেয়ে বড় বিদ্যুৎকেন্দ্র।
কর্মকর্তারা বলছেন, এ তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মাণে খরচ হয়েছে প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা। আলট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে এ ধরনের বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে বাংলাদেশ বিশ্বের ত্রয়োদশ এবং এশিয়ায় সপ্তম দেশ। দক্ষিণ এশিয়াতে বাংলাদেশ ছাড়া শুধু ভারতে এ ধরনের একটি বিদ্যুৎকেন্দ্র রয়েছে।