সদ্য অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী ও তাদের মদতদাতাদের বিষয়ে তিন মত আওয়ামী লীগে। দলের একটি অংশ ভবিষ্যৎ নির্বাচনে বিদ্রোহী ও মদতদাতা ঠেকাতে তাদের স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের পক্ষে মত দিয়েছে। আরেকটি অংশ চাচ্ছে, অতীতের মতো সাধারণ ক্ষমার আওতায় এনে তাদের ক্ষমা করে দিতে। আর তৃতীয় একটি পক্ষ চাচ্ছে, দল থেকে চূড়ান্ত বহিষ্কার না করে প্রত্যেকের পদাবনতি করে রাখা। যাতে তারা দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকবে, আবার দলের বিপক্ষে যাওয়ার শাস্তির মুখোমুখি হওয়ার ভয়ে ভবিষ্যতে সতর্ক হবে। অবশ্য বিদ্রোহী প্রার্থীদের ব্যাপারে দলের বেশিরভাগের বক্তব্য হচ্ছে, তাদেরকে কোনোভাবেই সাধারণ ক্ষতার আওতায় না আনা। কোনও না কোনও ফরমেটে তাদের অন্তত টোকেন শাস্তির আওতায় এনে দৃষ্টান্ত স্থাপন করা। আওয়ামী লীগের একাধিক দায়িত্বশীল নেতার সঙ্গে কথা করে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
সম্প্রতি দেশে দশম সাধারণ ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। গত ১০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আটটি ধাপে চার হাজার ১৩৬টি ইউপিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এসব ইউপির মধ্যে ইসি থেকে প্রাপ্ত ৪ হাজার ৪৪টির ফলাফলে দেখা গেছে, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থীরা দুই হাজার ১৯০টি ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে জয়ী হয়েছেন। এছাড়া এক হাজার ৭৮৯ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে জয়ী হয়েছেন। স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে ৩৫০ জন বিএনপি সমর্থিত। এছাড়া কয়েকজন রয়েছে নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধন বাতিল হওয়া জামায়াত সমর্থিত। বাকিদের প্রায় সবাই আওয়ামী লীগ সমর্থিত। বিদ্রোহীদের অন্তত এক হাজার ৪০০ জনই আওয়ামী লীগ বা তার সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী।