করোনা মহামারির বিধি-নিষেধসহ নানা আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্নের জন্য প্রায় ৬ ঘণ্টা আগে বিমানবন্দরে আসতে হয় প্রবাসীকর্মীদের। আর মধ্যপ্রাচ্যের সংযুক্ত আরব আমিরাতগামী যাত্রীদের আসতে হয় অন্তত ৮ ঘণ্টা আগে। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে এসে একটা লম্বা সময় প্রবাসীকর্মীদের কাটাতে হয় বিমানবন্দরেই। এ সময়ে তারা বিমানবন্দর ও আশপাশের দোকান ও ক্যান্টিন থেকে খাবার ও পানি কিনে যেমন খান, আবার অনেকেই খান বাড়ি থেকে সঙ্গে নিয়ে আসা খাবার। অনেকে খরচ বাঁচাতে না খেয়েও থাকেন। দীর্ঘসময় অভুক্ত থাকা, অস্বাস্থ্যকর খাবার ও পানি গ্রহণ, পর্যাপ্ত বিশ্রাম না নেওয়ায় অনেকেই সংযুক্ত আরব আমিরাত ও কাতারে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। যাদের অনেকেই কলেরাসহ নানা রকমের পেটের পীড়ায় আক্রান্ত হয়েছেন। এরইমধ্যে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো এক চিঠিতে বাংলাদেশিদের সেদেশে কলেরায় আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে কাতার ও সংযুক্ত আরব আমিরাত।
চিঠি পেয়ে বৃহস্পতিবার (৬ জানুয়ারি) দুপুরে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় বসে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বৈঠকে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়, খাদ্য মন্ত্রণালয়, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ, নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ, সিটি করপোরেশন, বিএসটিআইসহ সংশ্লিষ্ট ১৬টি সংস্থার প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।