রাজধানীর মিরপুরের বাসিন্দা ফয়জুল আমিন খান ফয়েজ (৩২) ও তার আত্মীয় কেরানীগঞ্জের বাসিন্দা ফোরকান হোসেন (৩২)। পেশায় দুজনেই ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। বৃহস্পতিবার সদরঘাট থেকে অভিযান-১০ লঞ্চে ওঠেন বরগুনা যাবেন বলে। প্রাণে বেঁচে ফিরেছেন দুজনই। বাংলা ট্রিবিউনকে বলেছেন কাছ থেকে দেখা সেই বিভীষিকার কথা।
ফয়জুলের এক পায়ে সমস্যা। খুঁড়িয়ে হাঁটতে হয়। কিছুটা সাঁতার জানেন। তবে ফোরকান সাঁতার জানতেন না। কিছু ক্যামেরা ও সরঞ্জাম লাগানোর কাজে যাচ্ছিলেন বরগুনা। সঙ্গে ছিল প্রায় দেড় লাখ টাকার মালামাল। উঠেছিলেন ২১৮ নম্বর কেবিনে।
ফয়জুল জানালেন, ‘রাত আনুমানিক পৌনে তিনটা। কথা হয় লঞ্চের এক স্টাফের সঙ্গে। তাকে বললাম, রামনা ঘাট এলে নামিয়ে দিয়েন, আমরা চিনি না। স্টাফ জানায়—দেরি আছে, আপনারা ঘুমান। পরে কেবিনে ঘুমাতে যাই। কিন্তু ঘুম আসছিল না। কিছু সময় মোবাইলে কোরআন তেলাওয়াত শুনি। কিছুক্ষণ পর চোখে ঘুম লেগে আসে। মোবাইল বন্ধ করে শুয়ে পড়ি। চোখ লাগতেই হঠাৎ হইচই শুনি। বাইরে যাই কী হচ্ছে দেখতে।’