সুগন্ধার বাতাসে লাশের গন্ধ। স্বজনদের আহাজারিতে ভারী হয়ে আছে চারদিক। শনিবার মেয়ের বিয়ে দিতে বাড়ির উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন আবদুল হাকিম সঙ্গে স্ত্রী পাখি বেগম ও আড়াই বছরের ছোট ছেলে নাসরুল্লাহকে নিয়ে। একটু আনন্দ নিয়ে বাড়ি যাচ্ছেন। বড় মেয়ের বিয়ে দিয়েই আবার ঢাকায় ফিরবেন। বিয়েবাড়িতে চলছিল আনন্দের মাতম। কিন্তু কে জানত রাতের মধ্যেই বিয়ের সব আনন্দ মাটি হয়ে যাবে। শুক্রবার সকালে মেয়ে শুনতে পান লঞ্চ দুর্ঘটনার খবর। শেষবারের মতো বাবার লাশটুকুও চিহ্নিত করতে পারেননি। বারবার লাশগুলোর পাশে গিয়ে আহাজারি করে বলছিলেন, ‘আমার বাবা–মায়ের মুখটা একটু দেখান আপনারা। তাঁদের নিয়া বাড়িতে মাটি দিব।’