বরিশাল, মুলাদী পাতারচর গ্রাম, জয়ন্তী নদীর একদম পাশ দিয়ে ফকিরবাড়ি রোডের লাল টিনের বাড়িতে ঢোকার ঠিক ডানেই, বড় পুকুর। নেজাম মিয়ার বাসা নামেই পরিচিত। কিন্তু একসময় সেটি তার চেয়েও বেশি পরিচিত হয়ে উঠেছিল, ঝিলুর বাসা হিসেবে। বাড়ির উঠানের ঠিক মাঝখানে একটি কাঁঠাল গাছ। তার গায়ে ছুরি দিয়ে খোদাই করা ছিল-‘ঝিলু দি গ্রেট’। শুধু সেই কাঁঠাল গাছেই নয়, বাসার এখানে-সেখানে, বাদবাকি দেয়ালে ঝিলু তার এই গ্রেটনেসের ঘোষণা লিখে রাখত। তখন বয়স আর কত হবে, ঝিলু পঞ্চম কি ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র।
খুব সুন্দর ছবি আঁকত ঝিলু। ছবি আঁকা ছিল আরেক নেশা। কিন্তু সবচেয়ে বড় নেশা ছিল গান গাওয়া। দিন-রাত প্রায় সারাক্ষণ ঠোঁটে লেগে থাকত গানের কলি। মুম্বাই ও কলকাতার ছায়াছবির হিট গানগুলো নির্ভুল সুরে নিখাদ দরদে গাইত ঝিলু।