বিগত জুন ৩ তারিখ আমাদের এফসিএ অর্থমন্ত্রী সংসদে ২০২১-২২ অর্থবছরের জন্য ৬ ট্রিলিয়নের বেশি টাকার বাজেট প্রস্তাবনা উপস্থাপন করেন। প্রতিবারের মতো এবারও বাজেট নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় শুরু হয়েছে; রাজনৈতিক বিভাজন অনুযায়ী সাধুবাদ ও পরিবাদের প্রক্ষেপণ চলছে। বিশেষজ্ঞদের অনেকে অভিমত ব্যক্ত করেছেন, যার মধ্যে মন্ত্রীর কিছু সাহসী পদক্ষেপের যেমন তারিফ আছে, তেমনি আছে কিছু জ্বলন্ত বিষয়কে সমধিক গুরুত্ব না দেওয়ায় তার সমালোচনা। ব্যবসায়ীরা মোটা দাগে এটাকে ব্যবসাবান্ধব (নাকি ব্যবসায়ী বান্ধব?) বলে মন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। সেই সঙ্গে তারা আরও কিছু কর ছাড় এবং নতুন স্টিমুলাস প্যাকেজ চাচ্ছেন। অন্য বছরের চেয়ে এবারের বাজেট আলোচনার একটা বড় পার্থক্য হলো, এবার কভিড-১৯ এর দ্বিতীয় তরঙ্গের মাঝে বাজেট পেশের আগেই নানা গোষ্ঠী এর লক্ষ্য, উদ্দেশ্য ও কৌশল নিয়ে বেশ কিছু মতামত ব্যক্ত করেছিলেন। তাদের মতামতে ভিন্নতা থাকলেও একটা অভিন্নতা ছিল; আর তা ছিল প্রবৃদ্ধির চেয়ে জীবন ও জীবিকার ওপর অধিকতর গুরুত্ব আরোপ এবং সম্প্রসারণমূলক ঘাটতি বাজেট প্রণয়ন। উপস্থাপনের সময় মন্ত্রীর মুখেও বাজেটের অনুরূপ শিরোনাম শোনা গেছে। কিন্তু বাক্স থেকে কাগজ বের করার পর দেখা গেল যে এটা আসলে ব্যবসা ও প্রবৃদ্ধি উভয়েরই বান্ধব; জীবন ও জীবিকা এবং অতিমারী নিয়ন্ত্রণ অনেকটাই ব্যাক সিটে। বাজেটে রাজস্ব ঘাটতি প্রাক্কলন করা হয়েছে ৬.৫ শতাংশ এবং প্রবৃদ্ধি ৭.২ শতাংশ; কিন্তু টিকা দেওয়া হবে মাসে ২৫ লাখ মানুষকে, অর্থাৎ ৮০ শতাংশ মানুষকে ডাবল ডোজ টিকা দিতে হলে প্রয়োজন হবে একাধিক পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা।