বাঁশখালীর বিদ্যুৎকেন্দ্রে শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে হতাহতের যে ঘটনা ঘটেছে, বকেয়া বেতন পরিশোধ ও রমজানে কাজের সময়সীমা পরিবর্তনের দাবিতে বিক্ষোভ থেকে তার সূত্রপাত হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শী ও আহত শ্রমিকরা। ঘটনার জন্য পরস্পরকে দায়ী করছে পুলিশ ও শ্রমিকরা। আর নির্মাতাপ্রতিষ্ঠান এস আলম গ্রুপের পক্ষ থেকে আগের সংঘর্ষের ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে এবারও বিক্ষোভের পেছনে উসকানি রয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
বাঁশখালীতে পুলিশের গুলিতে শ্রমিক নিহতের ঘটনার নিন্দা, ৬৮ নাগরিকের বিবৃতি
চট্টগ্রামের বাঁশখালী কয়লা-বিদ্যুৎকেন্দ্রে পুলিশের গুলিতে পাঁচ শ্রমিক নিহতের ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন দেশের ৬৮ নাগরিক। আজ শনিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তারা জানান, বকেয়া মজুরির দাবিতে সমাবেশরত নিরীহ শ্রমিকদের ওপর গুলিবর্ষণ একটি গর্হিত অপরাধ ও গণতান্ত্রিক সমাজের জন্য লজ্জাকর। শ্রমিকদের ওপর গুলি চালানোর ঘটনা আইনের শাসনের পরিপন্থী। যেখানে জনগণের নিরাপত্তা দেওয়া পুলিশের কাজ সেখানে এমন নির্মম ও অবিবেচনাপ্রসূত হত্যাকাণ্ড ক্ষমতার অপপ্রয়োগ এবং চরম অনাচারের শামিল।
শ্রমিকেরা গুলিবিদ্ধ, পুলিশের শরীরে ইট–পাথরের আঘাত
চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলায় কয়লাবিদ্যুৎকেন্দ্রে সংঘর্ষের ঘটনার জন্য পরস্পরকে দায়ী করছেন আহত পুলিশ ও শ্রমিকেরা। আজ শনিবার সকালে বাঁশখালীর গন্ডামারায় সংঘর্ষের সময় পুলিশের গুলিতে পাঁচ শ্রমিক নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন তিন পুলিশসহ অন্তত ৩০ জন। আহত শ্রমিকেরা পুলিশকে দায়ী করেছেন। পুলিশের অভিযোগ, বিনা উসকানিতে ইটপাটকেল ছোড়ায় ঘটনার সূত্রপাত হয়।
বাঁশখালীতে বিদ্যুৎকেন্দ্রে শ্রমিক-পুলিশ সংঘর্ষ, নিহত ৫
চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে এস আলম গ্রুপের নির্মাণাধীন কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রে শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে পাঁচজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। শনিবার সকাল সাড়ে দশটার দিকে বাঁশখালী উপজেলার গণ্ডামারা ইউনিয়নে ১৩২০ মেগাওয়াটের ‘এসএস পাওয়ার প্ল্যান্টে’ এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে পুলিশ।