ভারতের পশ্চিমবঙ্গে আট দফায় যে বিধানসভা নির্বাচনের ভোট গ্রহণ চলছে, তার চতুর্থ দফায় ১০ এপ্রিল কোচবিহারের শীতলকুচিতে সহিংসতা ও কেন্দ্রীয় পুলিশের গুলিতে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। নির্বাচন ঘিরে প্রথম থেকে সংঘাতময় পরিবেশ থাকলেও এই প্রাণহানি উত্তেজনার পারদকে বাড়িয়ে দিয়েছে এবং তা ক্রমাগত চড়ছেই। কভিডের পারদও চড় চড় করে চড়তে থাকায় ভোট গ্রহণের পরবর্তী তারিখগুলো ঠিক থাকবে কিনা তা নিয়েও নির্বাচন কমিশন মাথা ঘামাচ্ছে।
পশ্চিমবঙ্গে এই বিধানসভা নির্বাচনটির রাজনৈতিক গুরুত্ব ও রাজনৈতিক উত্তাপও অনেক বেশি। দ্বিতীয় দফা ভোটের দিন পহেলা এপ্রিল পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রাম আসনটির দিকে তো সারা ভারত তাকিয়ে ছিল। কারণ, সেখানে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী 'দিদি' পরিচয়ে খ্যাত জনপ্রিয় মুখ্যমন্ত্রী তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তারই এত দিনের দক্ষিণ হস্ত সদ্য বিজেপিতে যোগদানকারী সাবেক মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। বিজেপি জয়লাভ করলে শুভেন্দুকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী করার বিষয়টি একরকম ঘোষিত। এখানেই এবারের বিধানসভা নির্বাচনের সবচেয়ে বড় তাৎপর্য। এর ফলাফলে রাজ্যের রাজনীতি ও সমাজজীবনে বিরাট পরিবর্তন ঘটে যেতে পারে।