বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে কাদেরিয়া বাহিনীর একমাত্র পাঠান যোদ্ধা মমতাজ খান পাঠান গত ১১ এপ্রিল বাদ-আসর ইহজগৎ ত্যাগ করেছেন। স্বাধীনতার পর যাকে বঙ্গবন্ধু ভীষণ ভালোবাসতেন, আদর করতেন। আগামী পর্বে তাকে নিয়ে দুই কথা লিখব। তাকে আজিমপুর গোরস্থানে স্ত্রীর পাশে কবর দেওয়া হয়েছে। দয়াময় আল্লাহ তাকে বেহেশতবাসী করুন।
সপ্তাহজুড়ে শুধু কভিড-১৯ আর হেফাজতের মামুনুল হককে নিয়ে আলোচনা। করোনা নিয়ে যা হচ্ছে তা তো হচ্ছেই। দেশ যে কে চালায়, কীভাবে চলে করোনায় তা বোঝা যাচ্ছে না। আমলানির্ভর দেশে যা হওয়ার তাই হয়েছে। আমলারা কখনো পুরোপুরি গণমুখী হতে পারে না, হয়ও না। তাদের প্রধান লক্ষ্য থাকে নিজেদের স্বার্থ রক্ষা। নিজেদের স্বার্থ রক্ষার বাইরে তারা তেমন কিছুই ভাবে না। আর সরকারি কর্মচারীদের সেসব ভাবার তেমন সুযোগও নেই। মোটামুটি ভালো ছাত্র-ছাত্রী সরকারি আমলা হয়। গরিব হোক আর ধনী হোক মেধাবী হওয়ার কারণে তারা সব সময়ই যথেষ্ট আদরযত্ন পায়। দুশ্চিন্তা-দুর্ভাবনা খুব একটা তাদের গ্রাস করে না। দু-চার জন দারিদ্র্যের সঙ্গে লড়াই করে বড় হয়। তারা ভালো মানুষও হয়। আমলা হলে ভালো আমলাও হয়। কিন্তু সবাই তেমন নয়। আরাম-আয়েশে বড় হওয়ারা সাধারণ মানুষের দুঃখ-কষ্ট খুব একটা বুঝতে পারে না। তাই সাধারণ মানুষের জন্য তারা তেমন কিছু করতেও পারে না। যাদের স্পর্শ করে তারা আমলা হয়েও মানুষের পাশে দাঁড়ায়, মানুষকে সম্মান করে, তাচ্ছিল্য বা অবহেলা করে না। দুর্ভাগ্য, তেমন ভালো মানুষের সংখ্যা খুবই কম। বাংলাদেশের যে প্রশাসনিক ক্যাডার তৈরি হচ্ছে, যারা তাদের তৈরি করছে তারা অনেকেই দক্ষ-যোগ্য নয়।