ষষ্ঠ দফায় ভাসানচরের পথে রোহিঙ্গারা

বিডি নিউজ ২৪ প্রকাশিত: ৩০ মার্চ ২০২১, ২১:৩০

ষষ্ঠ দফায় ভাসানচরে স্থানান্তরের জন্য কক্সবাজার থেকে দুই হাজার ৫৫৫ জন রোহিঙ্গাকে নিয়ে ৪৪টি বাস চট্টগ্রামের পথে রওনা হয়েছে।


মঙ্গলবার দুপুর থেকে বিকালের মধ্যে উখিয়া ডিগ্রী কলেজ ক্যাম্পাস থেকে এই রোহিঙ্গারা তিনটি দলে বাসে করে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হয় বলে অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মো. সামছু-দৌজা নয়ন জানিয়েছেন।


এর মধ্যে বেলা ১২টায় ১৫টি বাসে ৮৮৪ জন, দুপুর ২টায় ১৫টি বাসে ৮৯০ জন এবং বিকাল ৫টায় ১৪টি বাসে ৭৮১ জন রোহিঙ্গাকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।


নয়ন বলেন, ষষ্ঠ দফায় অন্তত চার হাজারের বেশি রোহিঙ্গা নোয়াখালীর ভাসানচর যেতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। মঙ্গলবার তাদের বাসে করে চট্টগ্রাম নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।


রোহিঙ্গা শিবিরে জোরদার হয়েছে পুনর্বাসনসহ জরুরি কার্যক্রম


কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা শিবিরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর জন্য পুনর্বাসন কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। সরকারের সহায়তায় ব্র্যাকসহ অন্যান্য বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ও দাতা সংস্থাগুলোর সমন্বিত উদ্যোগে এগিয়ে চলছে খাবার বিতরণ, বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ, শেল্টার নির্মাণসহ অন্যান্য জরুরি কার্যক্রম।


সোমবার (২৯ মার্চ) ব্র্যাকের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, উখিয়ার কুতুপালংয়ের বালুখালি এলাকার রোহিঙ্গা শিবিরের ৮ ও ৯ নম্বর ক্যাম্পে ব্র্যাকের পক্ষ থেকে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত রোহিঙ্গাদের সহায়তায় ৩৪ হাজার লিটার খাবার পানি বিতরণ, ৪৯টি গভীর নলকূপ, ২৩৯টি অগভীর নলকূপ সংস্কার এবং ৩১৯টি ল্যাট্রিন মেরামত করা হয়। শনিবার (২৭ মার্চ) আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত বালুখালির ৯ নম্বর ক্যাম্প পরিদর্শন করেন ব্র্যাকের মানবিক সহায়তা কর্মসূচির (এইচসিএমপি) এরিয়া ডিরেক্টর হাসিনা আখতার হকসহ কর্মসূচির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।


উখিয়ায় রোহিঙ্গা শিবির থেকে ১১ জন গ্রেপ্তার


কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা শিবির থেকে ১১ জনকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)। সোমবার দুপুর ১২টার দিকে আদালতের মাধ্যমে তাঁদের কারাগারে পাঠানো হয়।


পুলিশের দাবি, গ্রেপ্তারকৃতরা সন্ত্রাসী। তাঁরা শিবিরের ব্লক-বি/৬-এর রোহিঙ্গা হামিদ উল্লাহর ছেলে মোহাম্মদ এয়াকুবকে (৪০) অপহরণের চেষ্টা চালান। পরে এপিবিএন সদস্যরা অভিযান চালিয়ে ধারালো অস্ত্রসহ তাঁদের গ্রেপ্তার করেন। তাঁদের বিরুদ্ধে জেলার বিভিন্ন থানায় অস্ত্র ও মাদকের একাধিক মামলা আছে।


রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের প্রতিবেদন দিয়েছে তদন্ত কমিটি


রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত বালুখালী ক্যাম্প ৮-ডাব্লিউ’র খলিলের বসতি থেকে। ২২ মার্চ দুপুরে প্রথম আগুন লাগার সাথে সাথেই তা নিভিয়ে ফেলেন প্রতিবেশীরা। এতে রক্ষা পায় আশেপাশের বসতি।


যেখানে আগুনের সূত্রপাত, পুড়েনি এর চারপাশে কোন বসতি। দুরের ক্যাম্পগুলোতে একযোগে আগুন লেগেছিল বলে দাবি প্রত্যক্ষদর্শীদের। অগ্নিকান্ডের তদন্ত প্রতিবেদন মন্ত্রণালয়ে জমা দিয়েছেন ৭ সদস্যের কমিটি। শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার শাহ রেজওয়ান হায়াত জানিয়েছেন, অনুসন্ধানের পাশাপাশি আগুন প্রতিরোধে সুপারিশ রয়েছে প্রতিবেদনে। 


রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ফের অগ্নিকাণ্ড, দ্রুত নিয়ন্ত্রণে


কক্সবাজারের টেকনাফে রোহিঙ্গাদের একটি শরণার্থী শিবিরে একটি বসত ঘরে শনিবার রাত পৌনে ৯টার দিকে অগ্নিকাণ্ড ঘটে।


তবে আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়ান (এপিবিএন) সদস্যদের সহযোগিতায় তা দ্রুত নেভানোর উদ্যোগ নেওয়ায় ছড়াতে পারেনি, দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে।


টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের ২২ নম্বর উনচিপ্রাং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বি-০৫ ব্লকে এ ঘটনা ঘটে বলে ১৬ এপিবিএনের অধিনায়ক এসপি মোহাম্মদ তারিকুল ইসলাম জানান।


নতুন স্বপ্ন দেখছে রোহিঙ্গারা


কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার বালুখালীসহ পাঁচটি ক্যাম্প পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। সেই ক্যাম্পগুলোতে বসতির মাধ্যমে নতুন স্বপ্ন দেখছে ক্ষতিগ্রস্থ রোহিঙ্গারা। ক্ষতিগ্রস্ত রোহিঙ্গারা সরকার এবং দেশি-বিদেশি সংস্থার সহযোগিতায় দ্রুত ঘুরে দাঁড়াচ্ছে।


সরকারের পক্ষ থেকে রোহিঙ্গাদের টানা পাঁচ দিন দেওয়া হচ্ছে দুই বেলা রান্না করা খাবার।


ক্ষতিগ্রস্ত রোহিঙ্গাদের প্রাথমিকভাবে ত্রিপল ও তাঁবুতে ঠাঁই হয়েছে। আগামী দু–এক দিনের মধ্যে রোহিঙ্গারা নিজেরাই ঘর তৈরি করে বসতি করতে পারবে। প্রতিদিন তাদের দুই বেলা রান্না করা খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে। যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার জন্য তাদের কার্ড দেওয়া হবে। এরপর তারা নিজেরাই ঘর তৈরি করবে।


রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুন, রোহিঙ্গাদেরই সন্দেহ


কক্সবাজারের উখিয়ার পালংখালি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম. গফুর উদ্দিন চৌধুরী ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘কাঁটাতারের বেড়া তুলে দেওয়ার জন্যই এই আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়ে থাকতে পারে বলে আমরা সন্দেহ করছি৷’’


মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডাব্লিউ) তাদের প্রতিবেদনে বলেছে, গত ২২ মার্চের অগ্নিকাণ্ডে প্রায় ৬১ হেক্টর এলাকা ক্ষতিগ্রস্থ হয় এবং প্রায় ১০ হাজার ঘর পুড়ে যায় বলে স্যাটেলাইট থেকে পাওয়া ছবিতে দেখা  গেছে৷ আগুনে পরিবারের সদস্য হারিয়েছেন এমন ১৭ জন প্রত্যক্ষদর্শী এবং রোহিঙ্গা শরণার্থীর সাথে কথা বলেছে তারা৷


 

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ঘটনা প্রবাহ

ঘুমধুম সীমান্তে অনুপ্রবেশের অপেক্ষায় মিয়ানমারের ৪০০ চাকমা

প্রথম আলো | ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদ, নাইক্ষ্যংছড়ি, বান্দরবান
২ মাস, ২ সপ্তাহ আগে

ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us