‘সাধারণ পোশাক এবং ইউনিফর্ম পরিহিত কয়েকজন র্যাব সদস্য যখন মুশতাক আহমেদকে তার লালমাটিয়ার বাসা থেকে আটক করে নিয়ে যাচ্ছিলেন, তখন তার স্ত্রী ও বৃদ্ধ মা-বাবা জিজ্ঞেস করেছিলেন, তাকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছেন? তখন র্যাব সদস্যরা বলেছিলেন, আমাদের সঙ্গে নিয়ে যাচ্ছি, কিছুক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদ করে ছেড়ে দেব। ওই যে কিছুক্ষণ পর ছেড়ে দেবে বলে বাসা থেকে নিয়ে গেল, এর নয় মাস পর তিনি ফিরলেন লাশ হয়ে।’
দ্য ডেইলি স্টারের কাছে কথাগুলো বলেছেন লেখক মুশতাক আহমেদের বাসার নিরাপত্তারক্ষী মো. চান মিয়া, যিনি সেসময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন।
গত বছরের মে মাসে কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোর, রাষ্ট্রচিন্তার কর্মী দিদারুল ইসলাম ও লেখক মুশতাক আহমেদকে বাসা থেকে আটক করে র্যাব। পরে তাদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়। গত বৃহস্পতিবার রাতে কারাবন্দী মুশতাক মারা যান। দিদারুল জামিনে ও কিশোর কারাগারে আছেন।