অনলাইন ক্যাসিনো নিয়ন্ত্রক সেলিম প্রধান, আর্থিক প্রতিষ্ঠান খেকো প্রশান্ত কুমার হালদার (পিকে হালদার) এবং টেন্ডার মাফিয়া গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জিকে শামীমের বিরুদ্ধে দুদকের করা মামলাগুলোর শীগ্রই চার্জশিট দেয়া হচ্ছে। ৩ সেক্টরের ৩ মাফিয়ার বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জন ছাড়াও দেশের বাইরে শত শত কোটি টাকার সম্পদ, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান গড়া, অর্থ পাচারের তথ্য প্রমাণও পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলার অনুসন্ধানকালে সেলিম প্রধান, জিকে শামীম ও প্রশান্ত কুমার হালদারের স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ, যাবতীয় ব্যাংক হিসেবে ইতোমধ্যে জব্দ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ৩ দিনের জব্দ করা সম্পদ ও অর্থের পরিমাণ এক থেকে দের হাজার কোটি টাকা।
দুদকের বিশেষ অনুসন্ধান ২-এর পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন বলেন, ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানের মধ্যে ক্যাসিনো রিলেটেড এবং অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের অভিযোগে এ পর্যন্ত ২২ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মামলাগুলো তদন্ত চলছে। অনেকের তদন্ত শেষ পর্যায়ে। যাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে প্রত্যেকেরই সম্পদ-ব্যাংক হিসেবে জব্দ করেছে দুদক। সেলিম প্রধান, জিকে শামীম ও পিকে হালদারের যাবতীয় সম্পদ ও ব্যাংক হিসেবে জব্দ করেছে দুদক।
দুদকের একটি সূত্র জানায়, সেলিম প্রধানের জব্দ করা সম্পদের পরিমাণ ২৫ থেকে ৩০ কোটি টাকা। প্রশান্ত কুমার হালদার ওরফে পিকে হালদারের ব্যক্তি ব্যাংক হিসেবে ওস্থাবর অস্থাবার সম্পদ মিলে ৭ থেকে ৮ কোটি টাকা জব্দ করা হয়েছে। এছাড়া বিতর্কিত ঠিকাদার জিকে শামীমের যাবতীয় ব্যাংক হিসেব ও যাবতীয় সম্পদ জব্দ করা হয়েছে যা হাজার কোটি টাকারও উপরে। তবে ৩ জন বিদেশে যে সম্পদ গড়েছে এবং অর্থ পাচার করেছেন তার চূড়ান্ত তথ্য এখনও দুদক পায়নি। এগুলো খুঁজে বের করার কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। বিদেশে সম্পদ ও অর্থ জব্দের আইনি দিকগুলো খতিয়ে দেখছে দুদক।