অবশেষে নিউইয়র্কে ফিরে গেলেন ডা. ফেরদৌস খন্দকার। যুক্তরাষ্ট্রে করোনা রোগীদের চিকিৎসাসেবায় নিযুক্ত হয়ে বেশ সুনাম অর্জন করেন তিনি। এক সময় প্রবাসীদের নিকট আস্থার নাম হয়ে ওঠে ডা. ফেরদৌস। নিউইয়র্কে করোনার প্রকোপ কমে গেলে তিনি মাতৃভূমির জন্য কাজ করতে উদ্যোগী হন। নিজ আগ্রহে করোনা রোগীদের চিকিৎসার জন্য বাংলাদেশে আসেন।
ডা. ফেরদৌস খন্দকার নিউইয়র্ক থেকে উড়াল দেওয়ার পূর্বেই দেশে তার নামে নানা রটনা ছড়িয়ে পড়ে। তারপরেও তিনি চলে আসেন। তবে দেশের মাটিতে পা দিতেই তাকে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়। ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইন শেষ করে তিনি দেশের করোনা রোগীদের জন্য কাজ করার চেষ্টা করেন। অজ্ঞাত কারণে বাধাপ্রাপ্ত হন।
মঙ্গলবার গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাতকারে অন্তত এক সপ্তাহ দেশে থাকার কথা জানালেও অজ্ঞাত কারণে পরদিন বুধবার রাতেই তিনি একটি বিশেষ বিমানে ঢাকা ত্যাগ করেন।
নিউইয়র্কের মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ফেরদৌস কোভিড-১৯ মহামারী শুরুর পর জ্যাকসন হাইটসে সাধারণ মানুষকে চিকিৎসা সেবা দিয়ে তিনি আলোচিত হন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিও বার্তা দিয়ে দেশের মানুষকে সচেতন করার উদ্যোগ নিয়েও সাড়া ফেলেন।
সম্প্রতি তিনি দেশে এসে একটি স্বাস্থ্য কেন্দ্র গড়ে তোলার পাশাপাশি মানুষের পাশে থেকে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেন। তারপর শুরু হয় নানা জটিলতা।
তাকে বঙ্গবন্ধুর খুনির আত্মীয় হিসেবে বর্ণনা করে, অথবা জামায়াত-শিবিরের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ তুলে এক ধরনের প্রচার শুরু হয় ফেইসবুকে, যা তিনি বরাবরই অস্বীকার করে এসেছেন।
এরমধ্যেই গত ৭ জুন কাতার এয়ারওয়েজের একটি বিশেষ ফ্লাইটে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ঢাকায় পৌছান ডা. ফেরদৌস। ওই ফ্লাইটের ১২৯ জন যাত্রীর মধ্যে ১২৮ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠিয়ে ফেরদৌসকে পাঠানো হয় প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে।