নির্বাচনে ভরাডুবি, দলীয় সিদ্ধান্তে সিনিয়রদের মতামত অবজ্ঞা, কোনো রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ না থাকাসহ নানা ইস্যুতে ক্ষোভ-হতাশা নিয়ে দল ছাড়ছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। বিএনপির দলীয় সূত্রে জানা যায়, খালেদা জিয়া কারাগারে যাওয়ার পরই রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কায় পড়ে দলটি। বিশেষ করে তারেক রহমান দলের দায়িত্ব নেয়ার পর যেসব সিনিয়র নেতা জিয়ারউর রহমানের সঙ্গে রাজনীতি করেছেন তারা অস্বস্তিতে পড়েন।
কারণ, দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলের হাতেগোনা কয়েকজন নেতা ছাড়া কোনো নেতার সঙ্গে কথা বলেন না তারেক রহমান। দলীয় গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তে তাদের মতামতও অগ্রাহ্য করা হয়। এসব কারণে তারেকের নেতৃত্ব ও সিদ্ধান্তে খুশি নন সিনিয়রা নেতারা। এ ছাড়া একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন দেয়াকে ঘিরে তারেক রহমানের সঙ্গে সিনিয়র নেতাদের দূরত্ব বাড়ে।
নির্বাচনের পর দলের পাঁচ এমপির শপথ নিয়েও বিএনপির স্থায়ী কমিটিসহ সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে টানাপড়েন শুরু হয়।সিনিয়র নেতাদের না জানিয়েই দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ভিডিও কনফারেন্সে বৈঠক করেন তারেক রহমান। এমনকি সিনিয়রদের গোপন করে বিএনপির সাংগঠনিক জেলা ও দলের পুনর্গঠন করতে গিয়ে কোন্দল আর দলাদলি উসকে দেয়া হয়েছে বলে অনেকের অভিযোগ।