বগুড়ায় ছয়দিনব্যাপী চক্ষুসেবা কার্যক্রম শুরু করেছে ‘আল-বাসার ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশন, বাংলাদেশ’। চোখের রোগে আক্রান্ত অন্তত ৫ হাজার রোগীকে দেয়া হচ্ছে ফ্রি চিকিৎসা। বগুড়ার মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের অধীনে ইনস্টিটিউট অব হেল্থ টেকনোলোজি ক্যাম্পাসে শুক্রবার এই সেবা কার্যক্রম শুরু হয়েছে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দল সকাল থেকে চক্ষু ক্যাম্পে উপস্থিত ছিলেন। সেবা নিতে আসা রোগীদের মধ্যে যাদের চোখের ছানি আছে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে অপারেশনসহ লেন্স স্থাপনের জন্য তাদের বাছাই করা হয়। আর যাদের চোখের ছানি নেই এমন রোগীদেরকে প্রয়োজনীয় ওষুধ এবং চশমা বিনামূল্যে দেয়া হয়েছে। অপারেশনের জন্য বাছায় কৃত রোগীদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা ও করা হয়েছে। সেবা নিতে আসা বগুড়ার হাসনা পারভীন, নূর জাহান বেগম জানান, তারা একেবারেই গরিব মানুষ। খাবারের টাকা জোগাড় করাতেই হিমশিম খেতেন। কয়েকদিনের প্রচারে তারা এখানে চোখ দেখাতে আসেন। একজনের ছানি কাটতে হবে অন্যজন চশমাতেই সমাধান পেয়েছেন। এখন ভালো ভাবে দেখতে পেরে খুশির ঝিলিক ঝরছে চোখে মুখে। চক্ষু ক্যাম্পে কার্যক্রম শুরুতে অতিথি হিসেবে ছিলেন বগুড়া জেলা প্রশাসক ফয়েজ আহমেদ, সিভিল সার্জন ডা. গাউসুল আজম, বিএমএ সভাপতি ডা. মোস্তফা আলম নান্নু এবং সাধারণ সম্পাদক ডা. রেজাউল আলম জুয়েল, মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক, এটিএম নুরুজ্জামান, আরএমও শফিকুর আমিন, সদর উপজেলা সাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তা সামীর হোসেন মিশু, দৈনিক করতোয়ার সম্পাদক মোজাম্মেল হক লালু। ইন্সটিটিউট অব হেল্থ টেকনোলজির অধ্যক্ষ বগুড়া মেডিকেল কলজের অধ্যক্ষ বগুড়া টিএমএসএস-এর পরিচলক, ড. হোসনে আরা বেগম। উক্ত চক্ষু ক্যাম্পে আরো উপস্থিত ছিলেন- আল-বাশার ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ-এর মহাপরিচালক ড. আহম্মেদ তাহের, হামিদ আলী মেডিকেল পরিচালক ডা. মো. আবু সাইদ এবং এইচআর ম্যানোর নুরুজ্জামান খোশনবিশ। চক্ষু ক্যাম্পে সার্বিক সহযোগিতা করছেন বগুড়া সদর উপজেলা সাস্থ্য ও প:প কর্মকর্তা সামীর হোসেন মিশু। তিনি মানবজমিনকে বলেন, এখানে একটি দাতাসংস্থার উদ্যোগে বগুড়া অঞ্চলের প্রায় ৫ হাজার সাধারণ মানুষ সেবা পেয়েছে। এতে সেবা নেয়া এসব গরিব মানুষগুলোর জন্য উপকার হয়েছে। তিনি আরো জানান, এখানে বগুড়া ছাড়াও বাইরের অনেক রোগীও এসেছিলেন। এছাড়াও ওই দাতা সংস্থার অতিথিরা এখানে সেবা দিতে পেরে তারাও ভালোলাগার অনুভূতি প্রকাশ করেছেন।