ওস্তাদ আজিজুল ইসলাম
ধ্রুপদী বংশীবাদক
প্রথম সারির ধ্রুপদী বংশীবাদক ওস্তাদ ক্যাপ্টেন (অব.) আজিজুল ইসলাম-এর জন্ম (২ ফেব্রুয়ারি, ১৯৪৫), পিতার কর্মসূত্রে রাজবাড়িতে হলেও তাঁর পূর্বপুরুষের আদি বসত ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ-র স্মৃতিধন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়। পেশাগত জীবনে নাবিক, ভারতীয় ধ্রুপদী সঙ্গীতের একনিষ্ঠ অনুরাগী ওস্তাদ আজিজুল ইসলাম কর্মজীবনের ফাঁকে ফাঁকে শাস্ত্রীয় সঙ্গীত শ্রবণ ও তার চর্চা অব্যাহত রাখেন। চট্টগ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা ওস্তাদ ইসলাম প্রথমে স্থানীয় আর্য সঙ্গীত সমিতির প্রিয়দারঞ্জন সেনগুপ্ত ও পরে ওস্তাদ বেলায়েত আলী খান সাহেবের কাছে ধ্রুপদী সঙ্গীতের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা গ্রহণ করেন। উপমহাদেশের প্রখ্যাত সরোদিয়া ওস্তাদ বাহাদুর হোসেন খাঁ-র কাছেও নাড়া বেঁধে কিছুকাল তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে তালিম গ্রহণ করেন। তবে শাস্ত্রীয় বংশীবাদনের ক্ষেত্রে ওস্তাদ পান্নালাল ঘোষই ছিলেন তাঁর প্রথম ও প্রধান প্রেরণা। মূলত তাঁর বাজনা শুনেই তিনি ধ্রুপদী বংশীবাদনের প্রতি আকৃষ্ট হন। পরে উপমহাদেশের দুই দিকপাল বংশীবাদক দেবেন্দ্র মুর্দেশ্বর ও ভি.জি. কারনাড-এর কাছ থেকে দিকনির্দেশনা লাভ করলেও ওস্তাদ আজিজুল ইসলাম মূলত একজন স্বশিক্ষিত শিল্পী । ওস্তাদ আজিজুল ইসলাম তাঁর ত্রিশ বছরেরও অধিক কালের বর্ণাঢ্য শিল্পীজীবনে দেশে বিদেশে বহু নামিদামি প্রতিষ্ঠানের আমন্ত্রণে বংশীবাদন পরিবেশন করেন। স্বদেশে ঢাকা ও চট্টগ্রাম শিল্পকলা একাডেমি, বাংলা একাডেমী, বাংলাদেশ জাতীয় যাদুঘর, জাতীয় প্রেসক্লাব, ছায়ানট, বেঙ্গল ফাউণ্ডেশন ছাড়াও ভারতের কোলকাতা, দিল্লী, মুম্বাই, চেন্নাই, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর ও অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন অনুষ্ঠানে একাধিকবার সঙ্গীত পরিবেশনের বিরল সম্মান অর্জন করেন। তিনি দুই দুইবার চ্যানেল আই-সিটিসেল সঙ্গীত পুরস্কারে ভূষিত হন। সম্প্রতি তার পৈত্রিক নিবাস ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাহিত্য একাডেমি তাকে বিশেষ সম্মাননা পদক প্রদান করে। ওস্তাদ আজিজুল ইসলাম উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতে সমর্পিতপ্রাণ একজন আপাদমস্তক শিল্পী যিনি এখনও প্রতিদিন নিয়মিত রেওয়াজ করে থাকেন।
Join Priyo to discover more contents
আরো কন্টেন্ট দেখতে প্রিয়তে যোগ দিন