খায়রুল আলম : নিরাপত্তা বিশ্লেষক মে. জে (অব.) আব্দুর রশিদ বলেছেন, যে কোনো পরীক্ষা ও চাকরির নিয়োগের ক্ষেত্রে ডোপ টেস্ট ভালো দিক হিসেবে দেখা হয়। যখন মানুষ কোনো পরীক্ষায় বা কোথাও নিয়োগের জন্য ভর্তি হওয়ার চেষ্টা করছে, তখন সে জানে যে আমাকে সেখান থেকে ডোপ টেস্ট পাস করতে হবে। তখন মানুষ পরীক্ষা বা নিয়োগের পূর্বে সযতেœ বেশি থাকে। আর যদি এ টেস্টটি না হয়, তাহলে স্বাভাবিকভাবেই মাদকসেবীরা সারাদেশে ছড়িয়ে পড়বে।এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে তিনি আরো বলেন, মাদকসেবীরা যদি বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে পরে, তাহলে মাদক বিস্তার লাভ করবে। তবে ডোপ টেস্টের সাথে মাদক বিস্তারের বিষয়টি সরাসরি যুক্ত নয়। কারণ যারা মাদকের ব্যবসা করেন, তারা মাদকের বিস্তার ঘটানোর জন্য বিভিন্ন প্রক্রিয়া চালু রাখেন। এগুলো রোধ করতে আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে। তবু তারা নতুন নতুন কৌশলে মাদক ব্যবসা করে যাচ্ছে। দেশ থেকে মাদককে নির্মূল করতে হবে যেকোনো মূল্যে। কারণ মাদক আমাদের দেশের নিরাপত্তার জন্য একটি বড় হুমকি। মাদকসেবীরা মাতাল অবস্থায় যেকোনো দুর্ঘটনা ঘটাতে পারে। কারণ তারা যখন মাদকাসক্ত থাকে তখন তাদের হিতাহিত জ্ঞান থাকে না। সরকার মাদকের বিরুদ্ধে যেসব আইনগুলো করেছে তার জন্য ধন্যবাদ জানাই। তারপরও যেহেতু মাদকে নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না তাই বিভিন্ন চাকরি ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ডোপ টেস্টটি চালু রাখা খুবই প্রয়োজন বলে মনে করছি।