২০১০ সালের ঢাকা সাউথ এশিয়ান (এসএ) গেমসে দু’টি স্বর্ণপদক জিতে হইচই ফেলে দিয়েছিল বাংলাদেশের উশু তারকারা। এরপর অনেকটাই ঝিমিয়ে পড়ে বাংলাদেশ উশু অ্যাসোসিয়েশন। মাঝের ৭/৮ বছর নিজেদের লক্ষ্যই ঠিক করতে পারেননি কর্মকর্তারা। নিয়মিত ঘরোয়া টুর্নামেন্ট আয়োজন করতেও ব্যর্থ হয়েছে উশু ফেডারেশন। তবে নতুন কমিটি গঠনের পর থেকেই গতি ফিরেছে ফেডারেশনটিতে। আসন্ন এসএ গেমসে অন্তত দু’টি স্বর্ণ জিতে স্বমূর্তিতে ফিরতে মরিয়া দেশের উশুকারা।ঢাকা এসএ গেমসের পর লাইম লাইটে দেখা যায়নি সোনাজয়ী দুই উশুকা মেসবাহ উদ্দিন ও ইতি ইসলামকে। তবে থেমে থাকেনি উশুর কার্যক্রম। দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর অ্যাসোসিয়েশন থেকে ফেডারেশনে রূপ পেয়েছে উশু। আর এতেই গতি বদলে গেছে। গেল দু’বছর ধরেই উশুতে প্রাণ ফিরেছে। বছরে নানা টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হচ্ছে। নেপাল এসএ গেমস উপলক্ষ্যে বিকেএসপিতে চলছে ৩৫ জন উশুকাকে নিয়ে আবাসিক ক্যাম্প। যার মধ্যে ২০ জন পুরুষ ও ১৫ জন নারী উশুকা রয়েছেন। নেপালে অনুষ্ঠিতব্য এসএ গেমসের সান্দা ও থাউলু ডিসিপ্লিনের ২২টি ইভেন্টে খেলবে বাংলাদেশ। যেখান থেকে নিদেনপক্ষে দু’টি স্বর্ণপদক প্রত্যাশা করছেন কর্মকর্তারা। সাধারণ সম্পাদক দুলাল হোসেন বলেন, ‘গেমসে আমরা অন্তত দু’টি স্বর্ণপদকের প্রত্যাশা নিয়ে যাবো। অন্য পদকতো জিতবেই বাংলাদেশ। তাই দেশের সেরা সব উশুকাদের নিয়ে আবাসিক ক্যাম্প চলছে। আশাকরি আমাদের লক্ষ্য পূরণ হবে।’এদিকে গেমসে উশুকাদের ভালো করার প্রত্যয়ে ডিসেম্বরের আগে বেশ ক’টি টুর্নামেন্টের আয়োজন করছে উশু ফেডারেশন। সেপ্টেম্বর, অক্টোবর ও নভেম্বর-এই তিন মাসে অনুষ্ঠিত হবে বেশ ক’টি প্রতিযোগিতা। এগুলো হলো- মেয়র হানিফ কাপ উশু টুর্নামেন্ট, ক্লাব কাপ উশু চ্যাম্পিয়নশিপ, নারী উশু চ্যাম্পিয়নশিপ এবং চট্টগ্রাম ও রাজশাহীতে বিভাগীয় উশু চ্যাম্পিয়নশিপ। এছাড়া বিদেশী কোচের তত্বাবধানে জাতীয় উশু কোচদের ট্রেনিং কোর্সও থাকবে। দুলাল বলেন, ‘সম্পূর্ণ নতুন রূপে উশুকে ঢেলে সাজাচ্ছি। যার আওতায় দেশের সকল উশু প্রশিক্ষকদের আলাদা পোশাক দেয়া হবে। আর উশুকাদের পরিচিতির জন্য পরিচিতি কার্ডও দেয়া হবে।