বিশ্বনবি ও শ্রেষ্ঠনবি হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বিনা যাচনায় মানবজাতিকে কুরআনের ন্যায় শরিয়ত তথা জীবন বিধান এবং সুন্নতের ন্যায় অনুগ্রহ প্রদান করেছেন। তিনি উন্নত চারিত্রিক আদর্শ শিক্ষা দিয়েছেন, তাদেরকে উন্নতির চরম শিখরে নিয়ে গেছেন। মহানবি (সা.) সাহাবীদেরকে তাদের তুচ্ছাতিতুচ্ছ সেবার জন্য অপরিসীম প্রতিদান প্রদান করেছেন। আরবের সাধারণ মানুষদেরকে আকাশের নক্ষত্রে পরিণত করেছেন এবং অসংখ্য সাহাবীদেরকে জান্নাতের সুসংবাদ প্রদান করেছেন। হজরত আবু বকর (রা.) যখন খলিফা নির্বাচিত হন তখন তার পিতা এটি বিশ্বাস করতে পারছিলেন না, সমগ্র আরব গোত্র তাঁকে তাদের নেতা হিসেবে মেনে নিয়েছে।
একবার হজরত উমর (রা.) হজ থেকে ফেরত আসার সময় এক জনমানবহীন এলাকায় দাঁড়িয়ে যান এবং একটি পাথরের ওপর বসে কাঁদতে থাকেন। এরপর বলেন, আমি আমার পিতার উট এখানেই চড়াতাম। একবার রাতে দেরি হয়ে যাওয়ায় আমার পিতা আমাকে শাস্তি প্রদান করেছিলেন। আর আজ মহানবির (সা.) কল্যাণে আমার ঘামের পরিবর্তে হাজারো মানুষ রক্ত প্রবাহিত করার জন্য প্রস্তুত। এই সুউচ্চ মর্যাদাসম্পন্ন সত্তার কল্যাণে হজরত উসমান (রা.), হজরত যুন্নুরাইন এবং হজরত আলী (রা.) খাতামুল আওলিয়াতে পরিণত হন।