রাজধানীর পল্লবীতে চাঁদাবাজি, মাদক কারবার আর দখল মানেই আল ইসলাম! নিরীহ কারও জমি কেনার তথ্য পেলেই হাজির হতেন আল ইসলাম ও তার ভাই জাহাঙ্গীরের লোকজন। নগদ চাঁদাবাজিতে সিদ্ধহস্ত দুই ভাই চাঁদা না পেলে হামলা করতেন। কখনো সাঙ্গপাঙ্গদের দিয়ে মিথ্যা মামলায় করতেন দিনের পর দিন হয়রানি। বাধ্য হয়ে অনেকে জমি ছেড়ে যেতেন।
মাদক কারবারে জড়িত আল ইসলামের বিরুদ্ধে রয়েছে হত্যা, হামলা, চাঁদাবাজিসহ নানা অভিযোগের অন্তত ডজনখানেক মামলা। ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর রাতারাতি ভোল পাল্টে পল্লবীর আতঙ্কে পরিণত হয়েছেন এই দুই সহোদর।
সর্বশেষ গতকাল বুধবার রাজধানীর পল্লবী থানাধীন বাউনিয়াবাদ এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও মাদক ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থল থেকেই এর নেতৃত্ব দেন আল ইসলাম। সেখান থেকে ছুটে আসা একটি গুলিতে আয়েশা আক্তার নামে এক নিরীহ গৃহবধূর মৃত্যু হয়। তিনি ওই সময় নিজের বাড়িতেই ছিলেন।
চাঞ্চল্যকর এই ঘটনায় পল্লবীজুড়ে আতঙ্ক আরও ছড়িয়ে পড়ে। রাতেই সেনাবাহিনীর একটি দল অভিযুক্ত আল ইসলামকে আটক করে পল্লবী থানা পুলিশে সোপর্দ করে।