বাজারে একটি ফটোকপি মেশিনের দাম ১ লাখ ৩৫ হাজার টাকা। সেই মেশিন কেনা হয়েছে ২ লাখ ৫৫ হাজার টাকায়। আর ৪১ হাজার ৫০০ টাকার মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর কেনা হয়েছে ১ লাখ ৬৭ হাজার ৮০০ টাকায়। এভাবে কেনাকাটায় অস্বাভাবিক বাড়তি মূল্য পরিশোধ করা হয়েছে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়েতে। ভুয়া বিল-ভাউচারেও লুট করা হয়েছে বিপুল পরিমাণ টাকা। ২০২০-২১ অর্থবছরে রেলের কেনাকাটায় এমন সব অনিয়ম-দুর্নীতির তথ্য উঠে এসেছে কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেলের (সিএজি) কার্যালয়ের নিরীক্ষা প্রতিবেদনে।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে এ প্রতিবেদন প্রস্তুত করে সিএজি কার্যালয়। প্রতিবেদনে নিম্নমানের মালপত্র ক্রয় এবং প্রয়োজনের অতিরিক্ত ক্রয়ের বিষয়টিও উঠে এসেছে। উঠে এসেছে তালিকাভুক্ত নয়—এমন প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে বিধিবহির্ভূতভাবে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের লাখ লাখ টাকার মালপত্র কেনার বিষয়টিও।
নিরীক্ষা প্রতিবেদনে দেখা গেছে, পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রক ২০২০-২১ অর্থবছরে মেসার্স এইচআর এন্টারপ্রাইজের কাছ থেকে অস্বাভাবিক দরে ২০ টন হার্ড কোক কিনেছেন। ঠিকাদারকে টনপ্রতি মূল্য দেওয়া হয়েছে ১ লাখ ২৩ হাজার টাকা। অথচ ১ টন হার্ড কোকের বাজারমূল্য মাত্র ৩৭ হাজার ১২০ টাকা। ২০ টন হার্ড কোকের জন্য প্রতিষ্ঠানটিকে ২৪ লাখ ৬০ হাজার টাকা পরিশোধ করা হয়েছে, যা বাজারদরের চেয়ে ১৪ লাখ ২০ হাজার ৬৪০ টাকা বেশি।